মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: পূর্ব বর্ধমানের খাস দান কিছু দিন আগে ২৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন আমন ধান তোলার ভরপুর মরসুম । এই সময় খাস ধান পূর্ব বর্ধমানের বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়। আর্থিক অসচ্ছল চাষিদেরকে চাষের খরচ জোগানের জন্য বিক্রি করতে হচ্ছে নতুন তোলা ধান। নতুন খাস ধানের দাম কমে হয়ে গেছে পনেরশো টাকা। এই অবস্থায় চাষিদের খরচা উঠবে না। পূর্ব বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিরা অন্যান্য ধানের থেকে খাস ধান চাষ করে দুটো পয়সা লাভের মুখ দেখে। এই বছর ধান হয়েছে যথেষ্ট ।বড় কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেনি। পুরাতন খাস দান যেখানে ৩ হাজার টাকা দাম হয়েছিল সেই খাশ ধান নেমে এসেছে ২১০০ টাকায়। আর নতুন খাস ধান অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে। চাষিদের আক্ষেপ কমছে না। যেখানে এক বিঘা জমিতে আট থেকে দশ বস্তা ধান হয়। এখানে খরচা হয় ১২ হাজার এর উপর। এখানে যদি পনেরশো টাকা করে ধান বিক্রি করতে হয় তাহলে তো চাষিদের ক্ষতি আর ক্ষতি। এই অবস্থায় চাষিরা সরকারের কাছে আকুল প্রার্থনা জানাচ্ছে ধানের ধানের দাম বৃদ্ধি করতে । খুশবু চাল বা খাস ধান থেকে উৎপন্ন হয় সারা বিশ্বে সামাদ্রিত ।পূর্ব বর্ধমানের মত এত উৎকৃষ্ট খাশ ধান সারা বিশ্বে কোথাও হয় না। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই খুশবু চাল দেশ-বিদেশের শোরুমের শোভা পায় কিন্তু যেখানে উৎপন্ন হয় সেখানে চাষিরাই পায় না দাম । অন্ধকারে ছিল চাষিরা সেই অন্ধকারই থেকে যাচ্ছে। আশায় মরে চাষা এই প্রবাদ বাক্য পূর্ব বর্ধমানের চাষিদের জন্য থেকেই গেল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct