আপনজন ডেস্ক: কদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে গুজরাতের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। আর সেই স্টেডিয়ামে স্বপ্ন ভঙ্গের সাক্ষী ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ প্রমুখ। মূলত দেশের ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে তারা হাজির থাকলেও পরিশেষে ভারতকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। সেই হার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যতবারই ফাইনালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহের মতো নেতারা হাজির হয়েছেন ততবারই ভারতকে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে। তাই মোদিকে ‘অপয়া’ প্রধানমন্ত্রী বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের সুর চড়েছে। আর সেই সুরে তাল মিলিয়ে রাজস্থানের এক জনসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নাম না করে বলেছিলেন, আমা,দের ছেলেরা ভাল খেলছিলেন। বিশ্বকাপ জিতে যেত ওরা। কিন্তু ‘অশুভ’রা এসে হারিয়ে দিল। সেই মন্তব্য ঘিরে জোর বিতর্কের মাঝে এবার প্রায় একই সুরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে নাম না করে মন্তব্য করলেন, পাপিষ্ঠরা যেখানে গেল সেখানেই হারল। বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় মমতা বলেন, ইন্ডিয়ার ফাইনাল যদি কলকাতায় বা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হত তা হলে আমরা জিতে যেতাম।আমাদের ছেলেমেয়েরা এত ভালো খেলাধুলায় তাদের সব গেরুয়া পরিয়ে দিচ্ছে। পাপিষ্ঠরা যেখানে যাবে, সেখানেই ভরাডুবি । পাপ কখনও বাপকেও ছাড়ে না।
এখানেই শুধু থেমে থাকেননি মমতা। এর আগে বিশ্বকাপের প্র্যাকটিশ ম্যাচে ভারতীয় দলের জার্সির রং গেরুয়া হওয়া সমালোচনা করেছিলেন। এদিনও, ভারতীয় ক্রিকেট দলের নীল রঙের জার্সির পরিবর্তে জোর করে গেরুয়া রং চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। মমতা বলেন, আমাদের ক্রিকেট দলের জার্সির রং নীল থেকে গেরুয়া করা হচ্ছিল ৷ কিন্তু ক্রিকেটারদের আপত্তিতে তা হয়নি৷ সেই কারণে নীল রঙের জার্সিতে কিছুটা গেরুয়া রং লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এমএনআরইজিএস, গ্রামীণ আবাসন এবং গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পের বকেয়া অর্থের দাবি নিয়ে দিল্লিতে ফিরে আসার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে তিনি ডিসেম্বরে সংসদ অধিবেশন চলাকালীন জাতীয় রাজধানী সফর করবেন এবং তাঁর দলের সাংসদদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করার চেষ্টা করবেন। এমনকি মোদির সঙ্গে শ্রোতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে দিল্লির রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করার হুমকিও দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতাদের বেছে বেছে টার্গেট করার জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করার জন্য বিজেপির সমালোচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরোধীদের বিরুদ্ধে দ্বৈত প্রতিশোধ নিয়ে ফিরে আসার হুমকি দেন। তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের দলের চার নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে এবং চুরির অভিযোগে তাদের থাপ্পড় মেরেছে। আজ আমার সিদ্ধান্ত, পুরনো ও বিচারাধীন মামলাগুলো পুনরায় খুলে দিয়ে আমি তাদের আট নেতাকে কারাগারে পাঠাব। তাদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের বিশেষ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি ও সিপিআই-এমকে একইভাবে আক্রমণ করেন, কিন্তু কৌতূহলজনকভাবে বাংলায় বামপন্থীদের রাজনৈতিক অংশীদার কংগ্রেস সম্পর্কে নীরব ছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct