বিধায়ক ও বিশিষ্ট তৃণমূল নেতা শেখ নুরুল ইসলাম সম্প্রতি বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ৷ তিনি বসিরহাটের প্রাক্তন সাংসদ, তৃণমূলের সূচনা থেকেই বিভিন্ন সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলেছেন ৷ এবার পুনরায় দায়িত্ব পয়ে বসিরহাটের দলীয় সংগঠন মজবুত করতে তৎপর শেখ নুরুল ইসলাম ৷ ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি এবং তাঁর সংগঠন নিয়ে ‘আপনজন’-এ একান্ত সাক্ষাৎকারে শেখ নুরুল ইসলাম কি বললেন তা তুলে ধরেছেন ‘আপনজন’ সাংবাদিক এম মেহেদী সানি ৷
লোকসভা ভোটের আগে নতুন দায়িত্ব, কি বলবেন ?
দল আমাকে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন করেছেন, এজন্য দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ । দলীয় নির্দেশ দায়িত্ব সহকারে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করব ৷ সংগঠনকে মজবুত করতে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথ ধরে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি সফলভাবে রূপায়িত করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবো ৷
বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ৷ প্রথম কাজ কি হবে ?
দীর্ঘদিন আমি জেলার চেয়ারম্যান ছিলাম, বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন একেবারেই সাজানো আছে, খুবই মজবুত ৷ তার প্রমাণ গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বসিরহাট জুড়ে ৯২ টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯১ টি তৃণমূলের দখলে ৷ এখন কাজ হল দলীয় কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে তা সমাধান করা ৷
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে কিভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ?
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় বসিরহাটকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি, দলীয় ঊর্ধাতন নেতৃত্বরা উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন করলে আগামী লোকসভা ভোটে বসিরহাট থেকে আমাদের প্রার্থী তিন লক্ষাধিক ভোটে জয়যুক্ত হব।
বাংলায় তৃণমূলের ব্যাপক সাফল্যের পেছনে কি কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন ?
রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছেন । মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা করে চলেছেন, যে কারণেই বাংলার মানুষ বার বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে রায় দিচ্ছে। রাজ্যে দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের উপর ইডি-সিবিআই -এর অতি সক্রিয়তা নিয়ে কী বলবেন। আজ পর্যন্ত তাঁরা কোন দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেনি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলার উপর, তৃণমূলের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে ৷ বাংলার মানুষের কণ্ঠ স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে । এতে কোন লাভ হবে না ৷ লোকসভা ভোটেও এর কোনও প্রভাব পড়বে না ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct