আরবাজ মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: খেজুর গাছে রসের আশায় এখন থেকে গাছ ঝুরতে ও গাছের প্রস্তুতি শুরু করেছে শিউলিরা।আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর শীত আসবে খুব তাড়াতাড়ি খেজুর গাছ রসে আসায় গাছ ঝুড়তে ও গাছ কাটাতে ব্যস্ত গাছিরা।নদীয়া জেলার সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ মাঠে ঘাটে গেলে চখে পড়বে খেজুর গাছ কাটাতে ব্যস্ত গাছিরা।শীত পড়তে নদীয়া জেলার বিভিন্ন ব্লকে খেজুর গাছ তৈরি করে ব্যস্ত গাছিরা।প্রকৃতিতে শীতের আগমনীবার্তা। মৌসুমের শুরুতেই খেজুর রস আহরণের জন্য ব্যস্ত হয়েছে পড়েছে কৃষগঞ্জ,চাপড়া, নাকাশীপাড়া সহ বিভিন্ন ব্লকের গাছিরা।কোমর বেঁধে গাছিরা খেজুর গাছ পরিষ্কার ও নলি বসানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার ক রছেন। খেজুর রস আহরণ মূলত কার্তিক মাস থেকেই শুরু হয়, চলে ফাল্গুন পর্যন্ত।কৃষগঞ্জ ব্লকের বাবলু মণ্ডল জানান, গাছের বাকল কেটে গাছ ঝোড়া হয়। গাছ ঝোড়া শেষে গাছ কাটার পালা। খেজুরের রস পেতে হলে বেশ কিছু কাজ করতে হয়। গাছের উপরিভাগের নরম অংশকে কেটে সেখানে বসিয়ে দেওয়া হয় বাঁশের তৈরি নালা। আবার পাখিরা যাতে রস না খেতে পারে আর কোনো জীবাণু না ছড়াতে পারে সেজন্য আবার জাল বিছাতে হয়।গাছের কাটা অংশ থেকে চুইয়ে চুইয়ে রস এনে নল দিয়ে ফোটায় ফোটায় জমা হয় ভাড়ে।প্রথম একবার গাছ কেটে কিছুদিন বিরতির পর আরও গাছি গাছ কাটেন। একবার গাছ কাটার পর ২-৩ দিন রস পাওয়া যায়। রসের জন্য গাছ একবার কাটার পর ৪-৬ দিন বিশ্রাম দেওয়া হয়। রোদে কাটা অংশ শুকিয়ে গেলে আবার ওই অংশ চেছে রস সংগ্রহ করা হয়। আর এ কারণেই সাধারণত খেজুর গাছ পূর্ব ও পশ্চিম দিকে কাটা হয়, যাতে সূর্যের আলো সরাসরি ওই কাটা অংশে পড়তে পারে। চাপড়া বসির সেখ বলেন, এখন আর আগের মতো গাছিরা সপরিবারে ব্যস্ত থাকে না। তবে গাছের সংখ্যা যেভাবে কমছে সেভাবে নতুন করে খেজুর গাছ রোপণ করা হচ্ছে না। খেজুর গাছ নেই বলে চলে কারণ নতুন করে গাছ রোপণ করছে খুব কম। বতর্মান যুবকেরা খেজুর গাছে উঠে পারে না। চাষের নজর নেই, লেখা পড়া করে চাকরি পেতে চায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct