নাজিম আক্তার, চাঁচল, আপনজন: পুরনো রুটে বাস চলাচলের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বীরস্থলী থেকে মালতিপুর এলাকা পর্যন্ত বাইপাস অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং এলাকাবাসী। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে এই বিক্ষোভ। এদিন অবরোধের ফলে মালদাগামী বহু বাস এবং যাত্রীবাহী গাড়ি আটকে পড়ে। চূড়ান্ত দুর্ভোগের মুখে পড়ে নিত্যযাত্রীরা। পরবর্তীতে পুলিশ এবং প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।এক সময় হরিশ্চন্দ্রপুর চাঁচল থেকে মালদাগামী যাত্রীবাহী যেকোনও বাস চলাচল করত বিরস্থলি হয়ে মালতিপুর, গোবিন্দপাড়া হয়ে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে। কিন্তু জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য শুরু হয় বাইপাসের কাজ। সামসি থেকে চাঁচল পর্যন্ত বাইপাসের কাজ শেষ হলেও বিগত সাত মাস ধরে চাঁচল থেকে সামসি পর্যন্ত বাস এবং যেকোনও যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করছে বাইপাস দিয়ে। বিরস্থলি, মালতিপুর, গোবিন্দ পাড়া, কালীগঞ্জ এলাকার মানুষেরা বারবার দাবি করেছে বাস যাতে বাইপাস দিয়ে না চালিয়ে পুরোনো রুটে ভেতর দিয়েই চালানো হয়। এই নিয়ে তারা এর আগেও আন্দোলন করেছে।কিন্তু বাস মালিক বা প্রশাসন তাদের সঙ্গে সহমত হয়নি।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সন্ধ্যের পর থেকে বাইপাস এলাকা ঘুটঘুটে অন্ধকার। মালতিপুর, গোবিন্দপাড়া, জালালপুর, চন্দ্রপাড়া এলাকার বহু নিত্যযাত্রী সন্ধ্যের পর বাইপাসে বাস থেকে নেমে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বাইপাস থেকে ভেতর এলাকায় যেতে পাওয়া যাচ্ছে না টোটো। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে মহিলারা। পুরোনো রুটে বাস বন্ধ হওয়ার ফলে মালতিপুর এবং গোবিন্দপাড়ার ভেতর এলাকায় ব্যবসায়ীরা ব্যাপক হারে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই বাস পুনরায় আগের রুট দিয়ে চালাতে হবে। নাহলে পরবর্তীতে আন্দোলন আরও বৃহত্তর হবে।চাঁচল-২ এর বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, ‘আজকেই আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং পিডব্লিউডিকে নিয়ে বসব। মানুষের যেটাতে সুবিধা সেটা করতে হবে।‘
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct