নিজস্ব প্রতিবেদক, মহিষাদল, আপনজন: সোমবার ছিল মহিষাদল ব্লকের কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের শতবর্ষ পুর্তি উত্সবের সমাপ্তি পর্ব ও সমবায় সপ্তাহ পালন উদযাপন অনুষ্ঠান। মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী আমন্ত্রিত ছিলেন অনুষ্ঠানে,যথা সময় মঞ্চে এসে উপস্থিত হয়,এর পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।তৃণমূল বিধায়ক কে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান সহ ‘চোর ধরো জেল ভরো’ স্লোগান দেন বিজেপির সমর্থকরা,সেই সময়ই ঘটে ধুন্ধুমার তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ, মারপিট,চেয়ার ছোড়াছুড়ি সহ ব্যাপক ভাঙচুর হয়।তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর সামনেই মারপিট,চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়,যা দেখে কার্যত ইতস্তত হয়ে যান বিধায়ক পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলাদেন, এর পরে ঘটনাস্থল ছেড়ে বিধায়ক চলে যান।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,জালপাই রাধাকৃষ্ণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির অনুষ্ঠানে তৃণমূলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী সহ শাসক দলের একাধিক নেতৃত্বকে ডাকা হয়েছিল।কিন্তু ডাকা হয়নি স্থানীয় বিজেপির প্রধানকে।কেন ডাকা হল না? তা নিয়েই প্রতিবাদে মুখর হন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। স্থানীয় লক্ষ্যা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রামকৃষ্ণ দাস ও স্থানীয় কিছু মানুষ সমবায়ের দূর্নীতির অভিযোগ তুলে অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনেই চেঁচামিচি করেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। অপর দিকে তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর উস্কানিতেই অশান্তি,বিজেপি তো এই কাজই করে?জেলার নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যেভাবে উস্কানি দিচ্ছেন,সেভাবেই কাজ করছেন বিজেপি সমর্থকরা।৩ হাজার লোকের সমবায়,শান্তিপূর্ণ মিটিং চলার মাঝে ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি করল।দেখুক মানুষ দেখুক,ওঁরা কী করছে।মানুষ দেখুক কাদের হাতে সমবায়ের,গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে।মানুষই ওসব দেখে মুখ ফিরিয়ে নেবে,বিশ্বাস রাখি এমন মন্তব্য করেন।‘এদিকে,পাল্টা বিজেপির অভিযোগ তাদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে,গন্ডগোলে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান-সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct