আপনজন ডেস্ক: অ্যান্টার্কটিকায় অবতরণ করেছে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি উড়োজাহাজ। এই প্রথম কোনো ড্রিমলাইনার পৃথিবীর ষষ্ঠ মহাদেশে অবতরণ করল। ইতিহাস গড়া ঐ ফ্লাইটে থাকা ৪৫ জন যাত্রীই ছিলেন বিজ্ঞানী। নিজেদের সঙ্গে ১২ টন যন্ত্রপাতিও নিয়ে গেছেন তারা। ঐ বিজ্ঞানীরা নরওয়েজিয়ান পোলার ইন্সটিটিউটের সদস্য। তাদের অ্যান্টার্কটিকার কুইন মড ল্যান্ডের ট্রল রিসার্চ সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঐ ফ্লাইট বুক করা হয়। বুধবার নর্স আটলান্টিক এয়ারওয়েজের ঐ উড়োজাহাজটি অ্যান্টার্টিকার কুইন মড ল্যান্ডের ট্রল এয়ারফিল্ডে অবতরণ করে। এ ধরনের উড়োজাহাজ মডেল ভেদে ৩৩০ জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করতে পারে। সাগর-মহাসাগর পাড়ি দিয়ে অ্যান্টার্কটিকায় ফ্লাইটটির লেগেছে দুইদিন। গত ১৩ নভেম্বর ফ্লাইটটি নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে উড্ডয়ন করে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে অবতরণ করে। পরে বুধবার রাতে অ্যান্টার্কটিকায় উড়োজাহাজটি ল্যান্ড করে। নরওয়েজিয়ান পোলার ইন্সটিটিউট বলছে, এই প্রথম এত বড় যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ মহাদেশটিতে অবতরণ করলো। এদিকে ঐ ফ্লাইটের মধ্যস্থতা করেছে এয়ার কানেক্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এয়ার কানেক্টের ড্যানিয়েল ক্যারি বলেছেন, ড্রিমলাইনারের কার্গোয় অনেক জায়গা রয়েছে, তাই এ ধরনের ফ্লাইটের জন্য এ মডেলের বিমান আদর্শ। এ মডেলের উড়োজাহাজের রিফুয়েলিং নিয়েও খুব একটা ভাবতে হয়নি। কেপ টাউন থেকে যাত্রীদের অ্যান্টার্টিকা নামিয়ে দিয়ে আবারো কেপ টাউন ফিরেছে ফ্লাইটটি। অথচ রিফুয়েল করতে হয়নি একবারও।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct