মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: গ্রামে গ্রামে একশ্রেণীর মানুষ ধর্মীয় জলসার আয়োজন করেন। এতে মুসলিমদের সব শ্রেণির মানুষই অংশগ্রহণ করেন। বেশরভাগ সময় দেখা যায় মুসলিম সমাজের মানুষের কাছ থেকে চাঁদা উঠিয়ে ভালো ভালো কথা শোনার জন্য ও ধর্মীয় কথা শুনে সওয়াব হাসিল করার জন্য এই ধর্মীয় জলসাগুলো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এক এক জায়গা থেকে বড় বড় বক্তা এনে তাদের পিছনে কুড়ি হাজার, ত্রিশ হাজার এমনকি পঞ্চাশ হাজার পর্যন্ত টাকা দিয়ে সেই বক্তাদের নিয়ে রাতভর জলসা করা হয়। এই জলসা কে কেন্দ্র করে গ্রামে গ্রামে এক উৎসবের মেজাজ তৈরি হয়। পশ্চিমবাংলায় মুসলিমদের চাকরি-বাকরির অবস্থা খুবই খারাপ । দুই শতাংশের নিচে সরকারি চাকরিতে নেমে গেছে মুসলিমদের সংখ্যা । বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে যেমন পুলিশ প্রশাসন , কোর্ট কাছারি , অফিসে,আদালতে ,স্কুল, কলেজ ,বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা দূরবীন দিয়ে দেখতে হয় ।এই অবস্থায় মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ধর্মীয় জলসা মুসলিম ছেলে মেয়েদের পরীক্ষার রেজাল্ট এ প্রভাব পড়ে । বিশিষ্ট সাহিত্যিক ডক্টর রমজান আলি বলেন ধর্মীয় জলসা হোক তবে অন্য সময়ে ।
অনেকে আরো চাইছেন ধর্মীয় জলসা হোক কিন্তু মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় নয়। পরীক্ষার সময় প্রশাসনিক ভাবে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় জোরে মাইক বাজানো অন্যান্য জিনিস নিষিদ্ধ থাকে। কিন্তু ধর্মীয় কারণে অনেক সময় এই বিধি নিষেধ শিথিল করা হয়। এর ফলে সমাজের একশ্রেণীর ছাত্রদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরীক্ষার সময় ছাত্র ছাত্রীরা সঠিক ভাবে মনোনিবেশ করতে পারেন না আবার গ্রামের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন না এই দোলা চালে তাদের পড়াশোনা অনেক ক্ষতি হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct