আপনজন ডেস্ক: মিয়ানমারে জান্তা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। জাতিসংঘের হিসাবে, নতুন করে দেখা দেওয়া সংঘাতের ফলে দেশটিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ২০ লাখে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার পাশাপাশি বিপর্যস্ত অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান গুতেরেস।সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মিয়ানমারে শান রাজ্যসহ বেশ কয়েকটি এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে জাতিগত তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিয়ে গড়া একটি জোট। পাশাপাশি প্রতিবেশী চীন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পুলিশ ও সেনাদের হটিয়ে দিয়েছে বিদ্রোহীরা।থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী কায়াহ রাজ্যের বেশির ভাগ অংশ এরই মধ্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে জাতিগত কারেনি বিদ্রোহীরা। কায়াহ রাজ্যের প্রধান শহর লোইকাউয়ে হামলার পাশাপাশি এর উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় দখল করেছে তারা। দেশটির শান অঞ্চলে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক লড়াই চালাচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিডিএফ-এর সদস্যরা। তাঁরা সম্প্রতি কাওলিন শহর দখল করেছেন এবং ইরাবতী নদীর তীরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর টিগিয়াং আক্রমণ করেছেন। মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শান রাজ্য, পূর্বে কায়াহ রাজ্য এবং পশ্চিমে রাখাইন রাজ্যে ফুঁসে উঠছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। তীব্র প্রতিরোধের মুখে রয়েছে জান্তা সরকার। জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের একজন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি খালি করা হয়েছে। কারণ বিদ্রোহীরা এসব ঘাঁটিতে শত শত বোমা ফেলার জন্য ড্রোন ব্যবহার করছে। জান্তার মুখপাত্র আরও বলেন, আমরা ড্রোন হামলা থেকে সৈন্যদের রক্ষা করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct