মহবুবুর রহমান: ১৯৫৯ সালের ২০ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক শিশু অধিকার ঘোষণার স্মরণে ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস পালন করা হয়। তখন থেকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে ভারতেও ২০ নভেম্বর শিশু দিবস পালিত হয়ে আসছিল। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু শিশুদের মধ্যে ‘চাচা’ হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন।সেই খ্যাতনামা শিশুপ্রেমীকে শ্রদ্ধা জানাতেই ১৪ নভেম্বর শুরু হয় শিশু দিবস পালন। তাঁর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ২০ তারিখ পালন করা হত শিশুদের এই বিশেষ দিন। এদিন সারা দেশের স্কুলগুলোতে নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। একইসঙ্গে জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানানো হয় দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে। মূলত শিশুর মৌলিক অধিকারগুলো সুনিশ্চিত করতে এই দিনটি পালন করা হয়।১৯৬৪ সালের ২৭ মে জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন ১৪ নভেম্বরকে “জাতীয় শিশু দিবস” পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তখন থেকে দিনটি ভারতে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। গতকাল ১৪ নভেম্বর ছিল সেই ধারানুক্রমিক ঐতিহাসিক ঐতিহ্যমন্ডীত শিশুহিতে পালিত বিশেষ দিবস,,”শিশু দিবস”।এবছরও চিরাচরিত ভাবে দেশের প্রতিটি স্কুলে রকমারি অনুষ্ঠানাদি আয়োজিত হয়েছে ।তা স্বাভাবিক, হওয়া চাই।তবে কোথাও যেন মনে হয় সেটা খোলস সর্বস্ব!নেই কোনো সার!ভেতরটা ফাঁকা ও ফাঁপা!কেবলই যেন এক আনুষ্ঠানিকতা মাত্র!নেই কোনো সার্থকতা!
একথা অনুধাবন করতে হবে,পৃথিবীর প্রত্যেক শিশু যেন ন্যূনতম জীবন যাপন করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সবারই। এজন্য শিশুদের সুযোগ দিতে হবে নানা ক্ষেত্রে। এমনকি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজেও। তাতে শিশু যেমন নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে বুঝতে পারবে, তেমনি সমাজের প্রতি তার দায়িত্ববোধের জায়গাও তৈরি হবে। এতে করে শিশুরা নিজেদের অবস্থানকে শক্ত জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে, নিজের জন্য, অন্য শিশুর জন্যও।মানবজাতির মধ্যে সবচেয়ে অসহায় হচ্ছে শিশুরা। বড় হয়ে ওঠার জন্য বড়দের উপর শিশুদের নির্ভর করতেই হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, দুনিয়ায় যেকোনো দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। সে দুর্যোগ প্রাকৃতিক কিংবা কৃত্রিম- যে রকমই হোক না কেন। তার ওপর রয়েছে অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের প্রতি বড়দের দায়িত্বশীলতার ঘাটতি, সঠিক মনোযোগ এবং সঠিক পরিচর্যার অভাব।তা আমাদের ভেবে দেখতে হবে।আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। চারাগাছ থেকে যেমন সহসাই ফুল-ফল মেলে না, সুমিষ্ট ফলের জন্য এবং সুবাসিত ফুলের জন্য চারাগাছকে যেমন অতি যত্নে লালন-পালন করে বড় করে তুলতে হয়, তেমনি শিশুদেরও যত্ন প্রয়োজন। শিশুর প্রতি এই যত্নের গুরুত্ব থেকেই শিশু দিবসের সূচনা। এই শিশুযত্নের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বোঝাতেই সরকারী বেসরকারী তরফে শিশুহিতে আয়োজিত রকমারি অনুষ্ঠান।শিশু দিবসের জন্মের গুরুত্বটা কাগজে-কলমে প্রথমে বুঝেছিলেন ড. চার্লস লিওনার্দো ১৮৫৭ সালে। তখন তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের চেলসিয়ার ইউনিভার্সাল চার্চের যাজক। জুনের দ্বিতীয় রোববার শিশুদের যত্নের জন্য দিনটি বিশেষভাবে নির্ধারণ করেছিলেন তিনি।লিওনার্দো দিনটির নাম দিয়েছিলেন রোজ ডে বা গোলাপের দিন বলে। পরে দিনটি ফ্লাওয়ার সান ডে বা ফুলেল রোববার নামে পরিচিত হয়। তারও পরে দিনটিকে চিলড্রেনস ডে যে বা শিশুদিবস হিসেবে অভিহিত করা হয়।তবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম শিশুদিবস পালনের কৃতিত্ব তুরস্কের। ১৯২০ সাল থেকে রীতিমতো ছুটি দিয়ে তুরস্কে ২৩ এপ্রিলকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হতো। যদিও সেটা কোনো রাষ্ট্রীয় ঘোষণার মধ্যে ছিল না। তুরস্কের জাতির জনক কামাল আতাতুর্ক রাষ্ট্রীয়ভাবে শিশুদিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেন ১৯২৯ সালে।শিশু অধিকার ও সুরক্ষায় প্রত্যেকের অবস্থান থেকে নজর দেয়া একান্ত জরুরি। এর পাশাপশি সাংবিধানিক অধিকার ও অঙ্গীকার অনুযায়ী সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে শিশুর সৃজনশীলতা বিকাশ এবং আনন্দময় পরিবেশে শিশুকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমুখী শিক্ষায় গড়ে তোলা কেবল জরুরিই নয় সময়ের দাবি বটে।শিশুদের প্রতি সচেতনা তৈরির এই জরুরি কাজটা করবে কারা? এককথায় সমাজের সবাই। শিশুর বাবা-মায়ের পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষিকা,নার্স , ডাক্তার, সরকার, সমাজকর্মী, ধর্মীয় ও কমিউনিটির প্রবীণ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, তরুণ যুব সমাজ সমাজ এবং সর্বোপরি শিশুদের নিজেদের। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই শিশুর জন্য দেশ, জাতি-সমাজ তথা বিশ্ব হবে সুন্দর,অনুপম,সমৃণ ও সাবলীল।শিশু দিবসের জাতিসংঘের চাওয়া শিশুকে শিশুর সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ করে দেয়া। এতে করে শিশুরা নিজেদের মধ্যে ভাবের আদান প্রদান করবে জাতিতে, গোষ্ঠীতে। নিজেরা নিজেদের উৎসাহ দেবে, নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করবে।আর এসবের মাধ্যমে এই শিশুরাই একদিন হয়ে উঠবে সমাজ-সচেতন, রাষ্ট্র-সচেতন, আত্ম সচেতন , সর্বোপরি অধিকার ও কর্তব্য সচেতন। বিশ্বে পনেরো কোটিরও বেশি পাঁচ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত। যা জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থি, শিশু অধিকারের পরিপন্থি। এর নিকেশে আজ আমরা বিশ্ব মানব কতটুকু তৎপর?
দুঃখজনক বিষয় হলো,মাতৃদেশ ভারত সহ পুরো বিশ্বে শিশুহিতে পালিত এ দিবস আনুষ্ঠানিকতায় ভরপুর হলেও বাস্তবিক শিশুকল্যাণে আমরা সমূহ বিশ্ব মানব আজ চরম ব্যর্থ ও অধ্বঃপতিত! যদি প্রশ্ন আসে,শিশুদেরকে আমরা কতটা ভালোবাসি ? তাহলে তার উত্তরে কি বলতে পারবো ? গত বছরের জাতীয় শিশু দিবসের পর থেকে এ বছরের এই শিশুদিবস পর্যন্ত যতগুলো শিশু শিশুশ্রমের শিকার হয়েছে তার কি যথাযথ হিসেব আমরা জানি? কতগুলো শিশু অন্ন,বস্ত্র, বাসস্থান,শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে তার কি কোনো সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের জ্ঞাত? কতগুলো শিশুকে বিশ্বব্যাপী হত্যা ও নির্যাতন করা হয়েছে এর কি কোনো সঠিক তথ্য আমাদের আয়ত্বে আছে? উপরন্তু আমরা বিশ্ববাসী আজ অনৈতিক ভাবে অহরহ শিশুভ্রুণ হত্যা করেই চলেছি!তাই তো অনেক সময়ই যেখানে সেখানে ডাস্টবিনে জীবিত বা মৃত কচি শিশুকলিদের আর্তনাদের খবর প্রকাশ্যে আসে! অপ্রকাশিত কত যে রয়ে যায় পাছে,তার হিসেব কে রাখে! ছিঃছিঃ! ভাবা দরকার এসবের জন্যই আমাদের কে পরকালে একদিন জবাবদিহি হতে হবে।আমাদের শ্রদ্ধাস্পদ প্রধান মন্ত্রী মোদিজীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার শিশুকল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিলেও সেগুলোর যথার্থ সফল বাস্তবায়ন কতটুকুই বা হয়েছে?এ ব্যাপারে আমরা দেশবাসী বেখবর। আমাদের দেশ ও রাজ্যে কিছু অমানুষ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হিতে বরাদ্ধ সরকারী স্কলারশিপ ও মধ্যাহ্নভোজের টাকায়ও অনৈতিক ভাগ বসায়! কেলেংকারী করে! আর তাই অনেক শিশু অর্থাভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বাধাপ্রাপ্ত হয়? এসবের জন্য দায়ী কে?অনেক শিক্ষক মোটা মোটা মাইনে নিয়ে স্কুল কামাই করে! আফসোস! আফসোস! এসব ক্ষেত্রে আমরা আম জনতাকে সরকার ও প্রশাসনের সহযোগি হয়ে অশুভ শক্তির নিকেশ ঘটিয়ে সমাজের প্রতিটি শিশুর সংবিধান স্বীকৃত সমূহ অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে।আক্ষেপের সাথে বলতে হয়, বিজ্ঞানের অগ্রগতির চূড়ান্ত যুগে ও সভ্যতার শীর্ষ কালে আজ দেশ তথা বিশ্ব পরিমণ্ডলে সেই কমল, আশরাফ,ফারহা, অনিল,রাকিব,রাজা, শহীদুল দের থেকে শুরু করে মায়ের হাতে শিশুখুনের মত ঘটনা ঘটেছে প্রায়ই । চুরির অপবাদে, কাজ না করার অপরাধে, মোবাইল চুরির অপবাদে, মাছ চুরির অপবাদে, গোষ্ঠীগত , রাষ্ট্রগত, ধর্মগত শত্রুতার সূত্র ধরে শিশু হত্যার মিছিল যাচ্ছে বিশ্বমানবের দ্বারসম্মুখে আর ক্রমশ সে মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে । ক্রিকেটারের বাসার কাজের মেয়েটিকে অবর্ণনীয় নির্যাতনের গল্প আমরা শুনেছি, বিচারকের বাসা থেকে, এমপির বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নির্যাতিত-রক্তাক্ত শিশু । শিশুর বস্তাবন্দী লাশের খবর তো এখন গণমাধ্যমের নিত্যদিনের যাত্রারম্ভের প্রধান রসদ। শিশুর ভবিষ্যত অন্ধকার ভেবে গর্ভধারীণি মা তার সন্তানকে হত্যা করে ফেলছে । পরকীয়ার বলি হচ্ছে শিশুরা । অবৈধ রক্তের অনুরণনের ফলে যে শিশুর আগমন ঘটছে সে শিশুর দায়িত্ব নিতে ধর্ম, রাষ্ট্র, পরিবার, সমাজ ও ব্যক্তি নারাজ । তারপরেও পরিচয়হীন পথ শিশুর লাইনটা ক্রমশ লম্বা হচ্ছে । শিশুদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে মাদকদ্রব্য পাচারের কাজে । ভ্রষ্ট রাজনীতিতেও শিশুদের দিয়ে নানা কায়েমী স্বার্থ উদ্ধারের খবর মিডিয়ায় আসছে । ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সাথে জড়িয়ে রাখা হয়েছে লক্ষাধিক শিশুকে । শিশুদেরকে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে । এক শ্রেণীর মানবরূপী কুলাঙ্গার শিশুদের ওপর বলৎকার করছে । শিশু ধর্ষণের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে । শিক্ষার নামে শিশুদের কাঁধে চড়িয়ে দেয়া হচ্ছে রাজ্যের বই । সে সব বইয়ের অধিকাংশের জ্ঞান কিংবা ওজন-কোনটাই বহন করার ক্ষমতা শিশুদের নাই; তারপরেও দেয়া হচ্ছে । সব মিলিয়ে ভালো নাই আমাদের শিশুরা । আমরা তাদেরকে ভালো থাকতে দিচ্ছি না!
আফসোস!হায়!
আজ ফিলিস্তিন ইজরায়েলের দীর্ঘ কালীন যুদ্ধ ও বোমাবর্ষণের শিকার নিরস্ত্র আমজনতা ও অগণিত শিশুকিশোর!আজ গাঁজার প্রতিটি বালুকণা থেকে ধেয়ে আসছে মাতৃহারা,বোমাবিধ্বস্ত রক্তাক্ত কোমলমতি কচিকলিদের আর্তনাদের চিৎকার! প্রতিটি শিশুর শরীর থেকে বেরুচ্ছে গোলাবারুদের গন্ধ!আজ বিশ্ব বিবেক গতিহারা, মতিভ্রম ঘটেছে সবার!আজ বিশ্ব মানবতা নীরব দর্শক মাত্র! পৃথিবীর সমূহ শক্তি ধর সার্বভৌম শান্তির জ্ঞান বিলানো ও মানবতার ফেরিওয়ালারা আজ গভীর ঘুমাচ্ছন্ন! এমনকি বিশ্ব শিশু দিবসের ঘোষক,ধারক ও বাহক বিশ্বজনীন সংস্থা জাতিসংঘ আজ মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে! বিশ্ব মানবাধিকার সংগঠন কর্তৃক কাঙ্ক্ষিত মানের কোনো পদক্ষেপ অদৃশ্য!আফসোস! সেক্ষেত্রে আমাদের শ্রদ্ধাস্পদ প্রধানমন্ত্রী মোদিজীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে মত দিয়েছেন,তাই সাধুবাদ জানাই। তবে সাম্য,মৈত্রী,মানবতার বিশ্বগুরু ভারতনেতার আরোও কঠোর দাবি উত্থাপন সময়ের দাবি। মনে রাখতে হবে,”রিভেঞ্জ অফ নেচার” বলে একটা বিষয় রয়েছে। বলাবাহুল্য,আমাদের সবার একবার প্রাণবায়ু বের হবে।সবাইকে শেষ বিচারের কাঠগড়ায় সব কিছুর জবাবদিহি করতে হবে।
সাবধান!
জাতীয় শিশু দিবস তথা আন্তর্জাতিক শিশু দিবস ও শিশু সপ্তাহ পালনকে আমি স্বার্থক শিশু দিবস হিসেবে মেনে নিতে চরম লজ্জিত ও দুঃখিত । যে সময়ে অজস্র-অসংখ্য শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে, নির্যাতনের মাধ্যমে , তাদেরকে শারীরীক ও মানসিকভাবে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, সেখানে ঘটা করে এমন শিশু দিবস পালনের তাৎপর্য ,সাফল্য ও সার্থকতা কোথায় ? তবুও বলব, আজ এক্ষণে শিশু দিবস তথা শিশু সপ্তাহে আবারও নতুন করে শপথ নিই, আমরা বিশ্ব মানব ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে আমাদের শিশুদেরকে নিরাপদে রাখবো এবং আনন্দ দেব।কবি সুকান্তের ‘ছাড়পত্র’ কবিতার ঘোষণা “এ-শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি-নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার”মতে — যেন আমরাও অঙ্গীকার করি এ দেশ তথা বিশ্বের প্রতিটি শিশুর সাথে, নিজের সাথে,বিশ্ব মানব সভ্যতার সাথে।পরিশেষে বলি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুক বিশ্ব মানবতা।বন্ধ হোক রক্তপাত,
শিশুহত্যা!
বিশ্ব শান্তির জয়ধ্বনি গায়কদের হোক বোধোদয়, বিশ্ব মাঝারে আবারো হোক শান্তি সাম্যের দীপ্ত মশাল উদয়।বিশ্ব থেকে বিদায় নিক শঙ্কা ত্রাস, এ ভুবন হোক এক শান্তির অনুপম নিবাস।জয় হিন্দ।জয় বিশ্ব মানবতা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct