জাইদুল হক, আপনজন: সাচার কমিটির রিপোর্ট ২০০৫ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর দেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের আর্থ সামাজিক অবস্থার একটা চিত্র পাওয়া গিয়েছিল। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের। তার পর প্রায় দু দশক অতিক্রান্ত হতে চলল, কোনও রাজ্যেরই সাচার কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে তেমন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। সেই পরিস্থিতির মধ্যে মুসলিমদের আর্থ সামাজিক ও শিক্ষাগত অবস্থান কিছুটা হলেও পরিবর্তিত হয়েছে। সাচার রিপোর্ট পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গে একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা ও একটি বেসরকারি সংস্থা তাদের অবস্থান সম্পর্কে সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করায় বোঝা যায় মুসলিমদের অবস্থা যে তিমিরে ছিলেন প্রায় সেই তিমিরেই রয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত সংখ্যালঘুদের শিক্ষাগত অবস্থানগত রিপোর্ট মুসলিম সমাজে শিক্ষার ধারায় যে পরিবর্তন এসেছে তার দৃষ্টান্ত ফুটে উঠেছে। দেশের সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন নতুন দিল্লির ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনাল প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রিশন (ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়)-এর এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অরুণ সি মেহতা কেন্দ্রীয় সরকারের দুই সংস্থা ইউনিফাইড ডিস্ট্রিক্ট সিস্টেম অফ এডুকেশন (UDISE) ও অল ইন্ডিয়া সার্ভে অফ হায়ার এডুকেশন (AISHE) -এর গত এক দশকের তথ্য বিশ্লেষণ করে এক বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। অধ্যাপক অরুণ সি মেহতা দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রাক্তন হওয়া উপচার্য অধ্যাপক নাজমা আখতারের ভূমিকা সম্বলিত সংখ্যালঘুদের নিয়ে এক রিপোর্ট পেশ করেছেন যার শিরোনাম হলম ‘দ্য স্টেট অফ মুসলিম এডুকেশন ইন ইন্ডিয়া এ ডেটা ড্রাইভেন অ্যানালসিস’।
২০১২-১৩ থেকে ২০২১-২২ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করা এই রিপোর্টে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, দেশজুড়ে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ছেলেদের তুলনায় মুসলিম মেয়েরা বেশি ভর্তি হওয়ায় স্কুলে মুসলিম শিশুদের ভর্তির ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা বেশি। যদিও প্রাথমিক স্তরে ভর্তি হওয়া ছেলেদের তুলনায় মুসলিম মেয়েরা কম, তবুও এখানে লিঙ্গ সমতা সমস্ত শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভাল। ২০১২-১৩ থেকে ২০২১-২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, যদিও প্রাথমিক স্তরে (প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি) মুসলিমদের মধ্যে লিঙ্গ সমতা ভাল ছিল, তবে মোট তালিকাভুক্তির তুলনায় মুসলমানদের মধ্যে অবস্থান ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। যদিও প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয়নি কেন, তবে একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে এই সময়ের পূর্ববর্তী বছরগুলিতে জন্মের সময় লিঙ্গ অনুপাতের অবনতি। ২০০৮-১০ সালে জন্মের সময় ভারতের লিঙ্গ অনুপাত ছিল ৯০৫, যা ২০১২-১৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় যোগদানকারী শিশুদের মধ্যে প্রতিফলিত হবে। আদমশুমারি কমিশনারের কার্যালয় দ্বারা পরিচালিত নমুনা নিবন্ধন ব্যবস্থা (এসআরএস) অনুসারে, এই অনুপাতটি ২০১৫-১৭ সালে সর্বনিম্ন ৮৯৬ পর্যন্ত খারাপ হতে থাকে, যা ২০১৮-২০ সালে ৯১০-এ উন্নীত হয়েছিল। যেহেতু ২০২১-২২ সালে প্রাথমিক স্তরে যাওয়া শিশুরা ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করবে, যখন জন্মের সময় লিঙ্গ অনুপাত ক্রমাগত খারাপ হচ্ছিল, তাই এটি যৌক্তিক যে বছরের পর বছর ধরে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা প্রাথমিক স্তরে যোগদান করবে। ২০১৬ সাল থেকে জন্মের সময় লিঙ্গ অনুপাতের উন্নতি আগামী বছরগুলিতে প্রাথমিক তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে আরও বেশি লিঙ্গ সমতা প্রতিফলিত করা উচিত। যদিও সামগ্রিক জনসংখ্যার তুলনায় মুসলমানদের লিঙ্গ অনুপাত বেশি। কিন্তু মুসলমানদের মধ্যেও এটি হ্রাস পাচ্ছে, যার কারণে মুসলিম তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রেও লিঙ্গ সমতা সূচক হ্রাস পাচ্ছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্তরে ভর্তির হার বেশি হতে পারে, তবে মুসলিম শিক্ষার্থীরা উচ্চতর স্তরে শিক্ষার ক্ষেত্রে আরও বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় বলে মনে হয়। মুসলিম পড়ুয়াদের ছোট অংশ ছিল মেয়ে। কিন্তু প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক এবং তারপরে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সমস্ত স্তরে ক্রমে ক্রমে তাদের উন্নতি হয়। যাইহোক, মুসলিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের একটি উচ্চতর অংশ পরবর্তী স্তরে জায়গা করে নেয়।এ সম্পর্কে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনাল প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনইউইপিএ) প্রাক্তন অধ্যাপক অরুণ সি মেহতা বলেছেন, বিভিন্ন একাডেমিক পর্যায়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্থানান্তর নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে অবশ্যই এই ড্রপ-আউটের কারণগুলি শনাক্ত করতে হবে এবং সমাধান করতে হবে।ইউডিআইএসই বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মুসলিম শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্তরে (প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি) স্কুল ছাড়ার সম্ভাবনা সব সম্প্রদায়ের তুলনায় বেশি। ইউডিআইএসই প্লাসের তথ্য শিক্ষা মন্ত্রক দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং এতে সারা ভারত স্তরে স্কুল শিক্ষার একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ এবং সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য রাজ্য-নির্দিষ্ট বিবৃতি রয়েছে। শিক্ষাবিদ অরুণ সি মেহতা কর্তৃক ইউডিআইএসই প্লাস ২০২১-২২ ডেটা বিশ্লেষণ করে তুলে ধরেন, মাত্র ৭৬.৩৭% মুসলিম শিক্ষার্থী প্রাথমিক স্তরের পরে শিক্ষার পরবর্তী স্তরে রয়ে গেছে, যেখানে জাতীয় গড় ৮১.২%। মেহতা ২০০২ থেকে ২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনাল প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনআইইপিএ) দ্বারা পরিচালিত ডিআইএসই প্রকল্পের শীর্ষে ছিলেন। তারপর থেকে এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়।ইউডিআইএসই প্লাস তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, মুসলিমদের মধ্যে স্কুল শিক্ষা ধরে রাখার বিষয়ে উল্লেখযোগ্য লিঙ্গ ব্যবধান রয়েছে। ২০২১-২২ সালে মাধ্যমিক স্তরে মুসলিম মেয়েদের পড়ার হার ৭৪.৭৮ শতাংশ এবং সেখানেমুসলিম ছেলেদর হার ৬৬.৫৬ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও মুসলিম মেয়েদের শিক্ষায় সংশ্লিষ্ট হওয়ার হার বেশি ছেলেদের তুলনায়। মেয়েরা যেখানে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ৪৭.৭১ শতাংশ পড়ে সেখানে ছেলেদের হার ৩৯.৭১ শতাংশ।স্কুল ছুট নিয়ে যে তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ বর্ষের মধ্যে দেশজুড়ে প্রাথমিকে মুসলিম মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশি স্কুল ছুট। প্রাথমিকে মুসলিম ছেলেদের স্কুল ছুটের হার ৫৪.৮১ শতাংশ। অথচ মুসলিম মেয়েদের স্কুল ছুটের হার ৪৫.১৯ শতাংশ। আপার প্রাইমারিতে মুসলিম মেয়েদের স্কুল ছুটের হার বেশি। ছেলেদের স্কুল ছুটের হার যেখানে ৪৮.৯৭ শতাংশ সেখানে মেয়েদের হার ৫১.০৩ শতাংশ। মাধ্যমিক স্তরে মুসলিম ছেলেদের স্কুল ছুটের হার ৪৮.৩৫ শতাংশ আর মেয়েদের ৫১.৬৫ শতাংশ। তবে, পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের স্কুলের যাওয়ার হার বেশ কয়েকটি রাজ্যের থেকে বেশি। ২০২১-২২ বর্ষের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উত্তরপ্রদেশে প্রাইমারি থেকে সেকেন্ডারি স্তরে মুসলিমদের স্কুলে যাওয়ার হার ৭৪.৬৮ শতাংশ, অসমে ৭০.৬৮ শতাংশ, হরিয়ানায় ৮৫.৭৩ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৭৩.৮৫ শতাংশ সেখানে পশ্চিমবঙ্গের হার ৮৬.০৪ শতাংশ। কিন্তু সেকেন্ডারি থেকে হা্য়ার সেকেন্ডারি স্তরে কিন্তু অনেক রাজ্যের থেকে পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। সেকেন্ডারি থেকে হা্য়ার সেকেন্ডারি স্তরে পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম পড়ুয়াদের হার যেখানে ৮০.৪২ শতাংশ, সেখানে হরিয়ানায় ৮২.২৬ শতাংশ, তামিলনাডুতে ৮৬.৮১ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৯১.১১ শতাংশ।
পশ্চিমবঙ্গে হায়ার সেকেন্ডারি স্তরে মুসলিম ছেলেদের তুলনায় মুসলিম মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার হার বেশি। সারা ভারতের ক্ষেত্রে মুসলিম মেয়েদের তুলনায় প্রাথমিক স্তরে বেশি মুসলিম ছেলেরা ভর্তি হলেও মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের স্কুল ছুট হওয়ার হারও বেশি। প্রাথমিক স্তরে ৩.৭২% মুসলিম ছেলে এবং ৩.২২% মেয়ে স্কুল ছুট হয়। ফলস্বরূপ, যদিও মুসলিম ছেলেদের তুলনায় মুসলিম মেয়েদের ধরে রাখার হার কম, তবুও মুসলিম ছেলেদের তুলনায় উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অধ্যয়নরত মুসলিম মেয়েরা বেশি। বিশ্লেষণ অনুযায়ী, প্রাথমিক স্তরে ভর্তি হওয়া সমস্ত মুসলিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুসলিম মেয়েরা ৪৮.৬৮% তবে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে মেয়েদের শতাংশ বেড়ে ৫০.২০%, মাধ্যমিক স্তরে ৫০.৯১% এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৫২.৪২%।২০২১-২২ বর্ষের তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি স্তরে মুসলিম ছেলেদের তুলনায় মুসলিম মেয়েদের স্কুলে ভর্তির হার কম। কিন্তু সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি স্তরে মুসলিম ছেলেদের তুলনায় মুসলিম মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার হার বেশি। যদিও ২০১২-১৩ থেকে ২০২১-২২ বর্ষের সার্বিক বিচারে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি সব স্তরেই মুসলিম মেয়েদের ভর্তির হার ছেলেদের তুলনায় বেশি ছিল।২০২১-২২ বর্ষের তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক স্তরে মুসলিম ছেলেদের ভর্তির হার ৫১.৫৯ শতাংশ সেখানে মুসলিম মেয়েদের হার ৪৬.২২ শতাংশ।আপার প্রাইমারি স্তরে মুসলিম ছেলেদের পড়ুয়ার হার ২৭.৫২ শতাংশ সেখানে মুসলিম মেয়েদের হার ২৬.৬২ শতাংশ।অথচ, সেকেন্ডারি স্তরে মুসলিম ছেলেদের পড়ুয়ার হার যেখানে ১৩.১৯ শতাংশ সেখানে মুসলিম মেয়েদের হার ১৫.০৫ শতাংশ।হায়ার সেকেন্ডারি স্তরে মুসলিম ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের স্কুলে ভর্তির হার অনেক বেশি। ছেলে পড়ুয়ার হার যেখানে ৭.৭০ শতাংশ সেখানে মুসলিম মেয়েদের হার ১২.১১ শতাংশ।এই রিপোর্টের ভিত্তিতে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে উঠেছে, তা হল পশ্চিমবাংলায় মুসলিম ছেলেদের তুলনায় দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে মুসলিম মেয়েরা। রিপোর্টে অবশ্য এর কারণ বিশ্লেষণ করা হয়নি। যদিও আমারা বিগত কয়েক বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ফলাফল বিশ্লেসণ করলে দেখতে পাই, সত্যিই মুসলিম ছাত্রদের তুলনায় মুসলিম ছাত্রী বেশি। তারা এখন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থানও করে নিচ্ছে। মুসলিম মেয়েরাও প্রথম হওয়ার নির্দশন রয়েছে। এই সাফল্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন তৃণমূল শাসনামলে মুসলিমরা এগিয়ে আসছে শিক্ষায়। তবে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষায় পরিবর্তন এসেছে। একটু পিছনে ফিরে বাম জমানায় নজর রাখলে দেখা যাবে সে সময় মুসলিম মেয়েরা মুসলিম ছেলেদের তুলনায় সত্যিই পিছিয়ে ছিল। সাচার কমিটির রিপোর্টার পর মুসলিমরাও সচেতন হওয়ায় মেয়েদেরকেওে তারা শিক্ষায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মেয়েদের এই সাফল্য আনন্দ এনে দিলেও মুসলিম ছেলেদের মধ্যে কেন উচ্চ শিক্ষার প্রবণতা কমছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। কেন প্রাথমিকে বা আপার প্রাইমারিতে তাদের ভর্তির হার মেয়েদের থেকে বাড়লেও কমছে কেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে তারও অনুসন্ধান প্রয়োজন। কারণ, মুসলিম সমাজে মেয়েদের যেমন এগিয়ে যেতে হবে শিক্ষায়, তেমনি মুসলিম ছেলেদেরও সমানভাবে শিক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। তার সমাধান খুঁজতে হবে মুসলিম সমাজকেই। নচেৎ মুসলিম সমাজ যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই থাকবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct