আমীরুল ইসলাম, বোলপুর, আপনজন: ‘বিশ্বভারতী রাহু মুক্ত হল, পরিবেশ বিধি মেনে পৌষমেলা হোক’। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে একথা বললেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, প্রাক্তন উপাচার্য পরিবেশ আদালতে দোহাই দিয়ে মেলা বন্ধ করেছিলেন। পরিবেশ আদালত কখনও মেলা বন্ধ করতে বলেনি৷ তবে সুভাষবাবু অভিযোগ করে বলেন, “বিশ্বভারতীর কাছে পরিবেশ রক্ষার কোন পরিকাঠামোই নেই, এটা গুরুত্বপূর্ণ।”এদিন বোলপুরের একটি বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। পৌষমেলা পরিচালনার জন্য তিনি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনারের সঙ্গে দেখা করে আর্জি জানান৷ পাশাপাশি, ট্রাস্টকে ১০ হাজার টাকা অনুদানও দেন তিনি৷ এছাড়া, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকেও একটি চিঠি দেন সুভাষবাবু। তাতে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, জাতীয় পরিবেশ আদালত, ইজেড বেঞ্চের গঠিত কমিটি প্রয়োজনে এবারের আয়োজিত পৌষমেলায় দূষণ রুখতে সহযোগিতা করবে। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে দূষণ রোধের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন ২০১৯ সালে শেষবার পূর্বপল্লী মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। ৮ নভেম্বর উপাচার্য হিসাবে তাঁর মেয়াদ শেষ হতেই পুনরায় মেলা হোক এই দাবি উঠেছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিকও পৌষমেলা এবছর করার ইতিবাচক ইঙ্গিতও দিয়েছেন।পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, বিশ্বভারতী রাহু মুক্ত হয়েছে। এবার গ্রামের প্রান্তিক মানুষের কথা পৌষমেলা হোক।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct