আপনজন ডেস্ক: শুক্রবার বিহারের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আর্লেকর রাজ্য সরকারের ‘বিহার সংরক্ষণ সংশোধনী বিল’ অনুমোদন করেন, যা সদ্য সমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। গত ৭ নভেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভা এটি অনুমোদন করে এবং অনগ্রসর, অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণি, তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ কোটা ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৬৫% করে। শিগগিরই গেজেট প্রকাশ করা হবে।সব মিলিয়ে সংরক্ষণ ৭৫ শতাংশ। গত ১৬ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছিলেন, রাজ্যপাল ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সংরক্ষণ বিলটি অনুমোদিত হবে। রাজ্যপাল ১৭ নভেম্বর ফিরে এসে বিলটি অনুমোদন করেন। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর (ইডব্লিউএস) জন্য ইতিমধ্যে ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকায় বিহারে কোটার সীমা এখন ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত ৫০ শতাংশের সীমা অতিক্রম করেছে।
এর আগে বিধানসভায় বিলটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার পরে নীতীশ কুমার বিধানসভার সদস্যদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে তাঁর সরকার “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব” বিলের বিধানগুলি বাস্তবায়ন করবেন।বিলে বলা হয়েছে, অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণীর (ইবিসি) কোটা ১৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে। অনগ্রসর শ্রেণীর (ওবিসি) জন্য ১২% থেকে ১৮%; তফসিলি জাতি (এসসি) এর জন্য ১৬% থেকে ২০%; এবং তফসিলি উপজাতির (এসটি) জন্য কোটা দ্বিগুণ করা হবে ১% থেকে ২%। ওবিসি মহিলাদের জন্য ৩% সংরক্ষণ বাতিল করা হয়েছে।উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার কর্তৃক পরিচালিত জাতিগত জরিপের উপর ভিত্তি করে খসড়া করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের একই বৃদ্ধির বিধানকারী বিলগুলিও রাজ্য বিধানসভায় কণ্ঠভোটে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছিল। গত ৭ নভেম্বর রাজ্য বিধানসভায় নীতিশ কুমার এই সংশোধনী প্রস্তাব করেন। একই দিনে রাজ্য মন্ত্রিসভায় এটি অনুমোদিত হয়। গত ২ অক্টোবর প্রকাশিত জাতিগত জরিপের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যের ১৩.১ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ইবিসি ৩৬ শতাংশ এবং বিসি ২৭.১ শতাংশ। এই দুই জাতিগোষ্ঠী একত্রে জনসংখ্যার প্রায় ৬৩%।“যদি প্রয়োজন হয় তবে এই সংরক্ষণ কোটাও বাড়ানো যেতে পারে এবং আমি এতে খুশি হব,” মিঃ কুমার বলেন, “আমার সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বর্ধিত কোটা বাস্তবায়ন করবে”।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct