নকীব উদ্দিন গাজী, ডায়মন্ডহারবার, আপনজন: দিদির কাছে ভাইফোঁটা নিতে গিয়ে নিজের জীবন দিয়ে দিদির জীবন বাঁচালো ভাই। দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। গতকাল ভাই ফোঁটার দিন মিঠুন সরদার (৩৪) দিদি পূর্ণিমা মন্ডলের বাড়িতে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে যায়। ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানের পর রাতে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি চলে আসে মিঠুন । মিঠুনের বাড়ি উস্তি থানার অন্তর্গত সাতঘেরা এলাকায়। বুধবার রাতে জমি সংক্রান্ত বিবাদ কেন্দ্র করে জগন্নাথ মন্ডলের সঙ্গে জয়দেব মন্ডলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। সেই সময় জগন্নাথ মন্ডলের স্ত্রী পূর্ণিমা মন্ডল তার ভাই মিঠুন সরদার কে তাদের বাড়িতে ডাকে। তড়িঘড়ি দিদির কাছ থেকে খবর পেয়ে দিদির বাড়িতে ছুটে আসে মিঠুন সরদার ।এরপর পরিবারের মধ্যে ঝামেলা চরম আকার ধারণ করে। ঝামেলার মধ্যে জয়দেব মন্ডল এর ছেলে পরেশ মন্ডল (শুভঙ্কর) বাড়ি থেকে একটি বন্দুক দিয়ে ছুটে আসে এবং জগন্নাথের স্ত্রী পূর্ণিমা মন্ডলকে পর পর দুটো গুলি চালায় সেই সময় নিজের দিদিকে বাঁচানোর জন্য দিদির সামনে এগিয়ে আসে মিঠুন। সেইগুলি মিঠুনের বুকে এসে লাগে। এরপর তড়িঘড়ি পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি আহত মিঠুনকে নিয়ে আসছে ডায়মন্ড হারবার হসপাতলে। চিকিৎসার চলাকালীন হাসপাতালে মৃত্যু হয় মিঠুনের।এরপর মূল অভিযুক্ত পরেশ মন্ডল (শুভঙ্কর) এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডায়মন্ড হারবার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশ। মূল অভিযুক্ত পরেশ মন্ডল (শুভঙ্কর) এলাকা থেকে ততক্ষণে গা ঢাকা দিয়েছিল। এরপর ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিথুন কুমার দের নেতৃত্বে একটি স্পেশাল দল গঠন করা হয়। এরপর মেলে সাফল্য। অভিযুক্ত পরেশ মণ্ডল কে গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। অভিযুক্তির বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশ। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েতে বিজেপির হয়ে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন গ্রাম সভাতে অভিযুক্ত এই বিজেপির নেতার পরেশ মন্ডলের কাছে কিভাবে আগ্নেয়স্ত্র এল ,কে দিয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র কবে নিয়ে এসেছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct