নাজিম আক্তার, সামসী: পরিবারের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দেওয়র আশায় ভিন রাজ্যে কাজে পাড়ি দিয়েছিলেন মালদহের রতুয়র যুবক। মঙ্গলবার বিকেলে টাওয়ার থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের বলে পরিবারের লোকেরা ফোন মারফতে জানতে পারেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃত যুবকের নাম আজিজুর রহমান (৩০)। বাড়ি রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চননগর-মধ্য পাড়া গ্রামে। যুবকের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকেরা।মৃতের বাবা আব্দুল কাদির জানিয়েছেন,আজিজুর তাঁর সেজো ছেলে ছিলেন। আজিজুরের স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তান রয়েছে।সেজো ছেলেই সংসারের খরচ চালাতেন। এলাকায় কোনও কাজ না পেয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগে হরিয়নার গুরুগ্ৰামে টাওয়ারের কাজে গিয়েছিলেন আজিজুর।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফোন মারফত পরিবারের লোকজন জানতে পারেন,কর্মরত অবস্থায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে টাওয়ার থেকে পড়ে যান আজিজুর।পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেখানে ময়নাতদন্তের পর বুধবার দুপুরে আজিজুরের কফিনবন্দি দেহ মালদার উদ্দেশে পাঠানো হয়।বৃহস্পতিবার কাঞ্চননগর গ্রামে তাঁর দেহ এসে পৌঁছোনোর কথা।মৃত আজিজুরের স্ত্রীর জন্য বিধবাভাতা ও বিডিওকে বলে আবাস যোজনা প্রকল্পে একটি পাকা ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা খুব শীঘ্রই করার আশ্বাস দিয়েছেন রতুয়া পঞ্চায়েত প্রধান শেখ আবু সায়েব বিলু।রতুয়া ১-এর বিডিও রাকেশ টোপ্পো বলেন,‘মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের যদি কর্মসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত না থাকে,তাহলে এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করার ব্যবস্থা করা হবে।পরিবারটিকে সবরকম সরকারি সাহায্যের ব্যবস্থা করা হবে।’অপরদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশিদা মুসলিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা তথা পরিযায়ী শ্রমিক
মহম্মদ মুক্তার প্রায় পাঁচ মাস আগে রাজস্থানে প্যান্ডেল নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন।২৯ অক্টোবর প্যান্ডেলের কাজ চলাকালীন প্যান্ডেলের লোহার বিম ভেঙে তাঁর ঘাড়ের উপরে পড়ে যায়।এর ফলে মুক্তারের ঘাড়ের হাড় ভেঙে যায়।সেখানে এক বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি রয়েছে।অর্থাভাবে থমকে রয়েছে অপারেশন।অপারেশন
করাতে দুই লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। কিভাবে এতো টাকা জোগার করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct