আপনজন ডেস্ক: কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী এম সি সুধাকর জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিতে শূন্যপদ পূরণের জন্য আসন্ন পরীক্ষায় হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হবে না। সুধাকর বুধবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, হিজাব বা প্রার্থীরা যে কোনও ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরতে পারেন তার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। অতীতের পরীক্ষা থেকে কিছুই বদলায়নি।
তিনি বলেন, আমরা সবসময় প্রার্থীদের হিজাব পরার অনুমতি দিয়েছি। ২৮, ২৯ অক্টোবর এবং ৬ নভেম্বর ের পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে সুধাকর বলেন, এটা অব্যাহত থাকবে।
কর্নাটক এক্সামিনেশন অথরিটির (কেইএ) জারি করা একটি সার্কুলারে বলা হয়েছে, আগামী ১৮ ও ১৯ নভেম্বরেরপ্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় মাথা ও কান ঢেকে রাখা টুপি, স্কার্ফ বা হেডড্রেস ব্যবহার করা যাবে না। হিজাবের কথা উল্লেখ না করলেও মঙ্গলবার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ও ওমর আবদুল্লাহর মতো নেতারা রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করেন। এ বিষয়ে মন্ত্রী সুধাকর বলেন, তেলেঙ্গানা ও কাশ্মীরের এই মহান নেতারা এটাকে নির্বাচনী ইস্যু বানানোর চেষ্টা করেছেন। যদি হিজাব নিষিদ্ধ করা হত, তাহলে কেইএ সার্কুলারে এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করত। ওয়াইসির অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন এই মাসে তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কেইএ সার্কুলারে পরীক্ষার হলে সব ধরনের ইলেকট্রনিক ও ব্লুটুথ ডিভাইস, ইয়ার ফোন, পেনড্রাইভ এবং খাবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কেইএ কর্তৃক পরিচালিত সাম্প্রতিক পরীক্ষায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সহজেই লুকানো ইন-ইয়ার ব্লুটুথ ডিভাইসের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে, সুধাকর বলেন যে সমস্ত পরীক্ষার্থীকে স্বাভাবিক এক ঘন্টার পরিবর্তে দুই ঘন্টা আগে তাদের নিজ নিজ কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশনা নিয়ে মন্ত্রী সুদাকর আরও বলেন, শুধু যারা হিজাব পরিধান করছেন তারাই নন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে উপস্থিত থাকতে হবে। কেউ যাতে কোনও নিষিদ্ধ জিনিস বহন করতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য এটি করা হয়েছে। কেইএ সার্কুলারের অস্পষ্টতার কারণেই এই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে সুধাকর বলেন, সম্ভবত, হ্যাঁ। তিনি বলেন, সাধারণত আমি এই সার্কুলারগুলি দেখি না যা নিয়মিত জারি করা হয়। তবে এখন থেকে আমাকে সেগুলি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct