সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: রবিবার সন্ধ্যায় বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে পথে নামল কলকাতা পুলিশ। সন্ধ্যা করাতেই লালবাজার থেকে একাধিক মোটরসাইকেল প্রাইভেট কার ও টাটা সুমো বের হয়। সাদা পোশাকে পুলিশ বাহিনী ছড়িয়ে পড়ে গোটা শহরে। আগে বলা হতো আইনশৃংখলা রক্ষা করা দুর্গাপুজোতে কলকাতা পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু কালী পূজোতে শব্দ দানবকে রখা এখন পুলিশ প্রশাসনের কাছে এক বড় পরীক্ষা। শনিবার ভূত চতুর্দশীর রাতে কলকাতা শহর সহ বাগুইহাটি, এয়ারপোর্ট ,কেষ্টপুর নিউটাউন, বারুইপুর, গড়িয়া, ডায়মন্ডহারবার সর্বত্র দেদার শব্দবাজি পুড়েছে। শনিবার সন্ধ্যে থেকে পাড়ায় পাড়ায় কালী প্রতিমা নিয়ে আসা কে কেন্দ্র করে বা উৎসব যাপনকে সামনে রেখে যেভাবে শব্দবাজি পড়ানো হয়েছে তাতে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নচিহ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট দূষণ ছড়াতে পারে যে বাজি তা ব্যবহার করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কলকাতা ময়দানে গ্রীন শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছে একাধিক স্টলে। কালীপুজোর বহু আগে থেকে নাকা চেকিং করে টনটন বেআইনি শব্দ বাজি আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু তারপরেও কালীপুজোর রাতে ৫০০০ পুলিশ কর্মীকে রাস্তায় নামাতে হয়েছে। ডিসি এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার ৫৬ জন অফিসার গোটা শহরে বেআইনি শব্দবাজি পুরানো রুখতে নজরদারি শুরু করেছে। লালবাজার থেকে গুরুত্বপূর্ণ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ক্লোজসার্কিট ক্যামেরায় নজরদারি শুরু হয়েছে। শনিবার ও পুলিশের এই তৎপরতা কমতি ছিল না। কিন্তু তারপরেও শব্দবাজি ফেটেছে দেদার। কালীপুজোর রাতে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে বহু তল বাড়িগুলিতে। বেশ কিছু বহু তলে ছাদে বিকেল থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। কালীপুজোর আগে বিভিন্ন আবাসনের কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুলিশ।
এদিকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন রবিবার কালীপুজোর দিন সকাল ৭টা থেকে ১১টা এবং সন্ধ্যা ছটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত সাউন্ড বক্স ও মাইক বাজানো যাবে সোমবার সকাল সাতটা থেকে ১১ঃ০০ টা পর্যন্ত এই মাইক ব্যবহারের অনুমতি থাকছে। এর বাইরে জরুরী ঘোষণার জন্য মাইক ব্যবহার করা যাবে। এর বাইরে মাইক ব্যবহার হলে ক্যালকাটা সাব্বর্বান পুলিশ আইনে ১৭ ডি ধারায় মামলা রুজু করা হবে। একই সঙ্গে বিস্ফোরক আইনে মামলা করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে নিষিদ্ধ বাজি ফাটালে। এখন দেখার বিষয় কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি বিধান নগর কমিশনারেট ও ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট ও গোটা রাজ্যের প্রশাসন শব্দ দানব রুখতে কতটা সফল হন। যদিও ডায়মন্ডহারবার পুলিশ প্রশাসন শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ৫০০ কেজি শব্দ বাজি আটক করে গ্রেপ্তার হয় ৬ জন। তবে কলকাতা পুলিশ ফোর্স মনে করছে সবটাই সফল হবে যদি জনতা জনার্দন হয় সচেতন। ইতিমধ্যে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সহ শাসকদলের নেতা ,মন্ত্রী ,বিধায়করা সকলেই বারবার জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছেন কেউ যেন শব্দবাজি ব্যবহার না করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct