আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নজিরবিহীনভাবে গণহত্যা চালানোর পরও ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার পরিকল্পনা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।শুক্রবার (১১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটি নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার সময় ইসরায়েলি অভিযানের ওপর কিছুটা মধ্যপন্থী প্রভাব ফেলার আশা নিয়ে এ পরিকল্পনা করেছে।২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আব্রাহাম চুক্তির অধীনে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর সবচেয়ে বিশিষ্ট আরবদেশ হয়ে ওঠে সংযুক্ত আরব আমিরাত।তারা অন্য আরবদেশগুলোর জন্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সৃষ্টি ছাড়াই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি নিষিদ্ধতা ভঙ্গ করার পথও প্রশস্ত করে। ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার প্রতিশোধ হিসেবে শুরু হওয়া গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা আরব রাজধানীগুলোতে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান গত মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ইসরায়েলের পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন এবং বারবার সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।একজন আমিরাতি কর্মকর্তা বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার ছিল একটি যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং মানবিক করিডরগুলো উন্মুক্ত করা। সংবেদনশীলতার জন্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্র চারটি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাত আরবদেশগুলোতে নেওয়া জনসাধারণের অবস্থানকে মধ্যপন্থী করার জন্য কাজ করছে, যাতে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে বিস্তৃত সংলাপে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে। শেখ মোহাম্মদ বৃহস্পতিবার আবুধাবিতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে একটি অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক করেছেন। লড়াইয়ের বিরতির বিনিময়ে সীমিত সংখ্যক জিম্মির মুক্তির জন্য কাতারের মধ্যস্থতামূলক আলোচনার মধ্যে এ বৈঠক হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct