আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)। এতে করে সেখানকার কোনও খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার (১১ নভেম্বর) সংস্থাটি নিজেই এই তথ্য জানিয়েছে। একইসঙ্গে ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যে হাসপাতালটিতে আটকে পড়া মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ জানিয়েছে সংস্থাটি। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত আল শিফা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ‘গুরুতর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি। এদিকে হামলার কারণে হাসপাতালটিতে থাকা শতশত ফিলিস্তিনি ও ৩৭ নবজাতক শিশুর জীবন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, বর্তমানে গাজার আল-শিফা হাসপাতালসহ একাধিক হাসপাতাল বিদ্যুৎ সংযোগহীন অবস্থায় রয়েছে।এদিকে ইসরায়েল গাজার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ হাসপাতালের চারপাশে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ তীব্রতর হয়ে উঠেছে। ফিলিস্তিনিরা লড়াই থেকে বাঁচতে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিল। এর আগে আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক বলেছিলেন, ‘তার হাসপাতালের কম্পাউন্ডে রাতভর বারবার আঘাত করা হয়েছে। জেনারেটর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।’ হাসপাতালের চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে ফিজিশিয়ান ফর হিউম্যান রাইটস ইসরায়েল বলেছে, ‘বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে হাসপাতালের দুটি শিশু মারা গেছে।’ ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) টুইটারে বলেছে, ‘আল-শিফা হাসপাতালের আশপাশে হামলা নাটকীয়ভাবে তীব্র হয়েছে। হাসপাতালে আমাদের কর্মীরা ভেতরে একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct