নিজস্ব প্রতিবেদক, মেটিয়াবুরুজ: স্বাধীন ভারতে প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী হয়েছিলেন মওলানা আবুল কালাম আজাদ। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু একজন আরবি শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষকে দেশের শিক্ষার ভিত্তি তৈরীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এখানেই নিহিত আছে মাওলানা আবুল কালাম আজাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির গুরুত্ব। আজ ১১ ই নভেম্বর শনিবার মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মদিনের এবং জাতীয় শিক্ষা দিবসে সাতঘরা হাই মাদ্রাসায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথাগুলি বলেন প্রাক্তন সাংসদ সরকার আমজাদ আলী।
পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মতো এই দিনটি সমস্ত সরকার অনুমোদিত মাদ্রাসায় যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়। শনিবার ১১ই নভেম্বর কলকাতার মেটিয়াবুরুজে অবস্থিত সাতঘরা হাই মাদ্রাসা( উচ্চ মাধ্যমিক) এ দুপুর ১২ টায় অনুষ্ঠান শুরু হয় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী ও প্রাক্তন সাংসদ সরদার আমজাদ আলী বলেন একজন আরবি শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ ছিলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ তা সত্ত্বেও তিনি এদেশে আধুনিক শিক্ষার বিস্তারে প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী হিসাবে যে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে গেছেন এক কথায় প্রশংসানীয় । তিনি এখনকার রাজনীতিবিদের মতো ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন তাতেই হা বলবেন। জহরলাল নেহেরুর মত প্রধানমন্ত্রীর মৌলানা আবুল কালাম আজাদ সোজা কথায় সোজা ভাষায় বলতেন। নিজে যা বিশ্বাস করতেন তা তিনি জোর দিয়ে বলতে পারতেন এটাই মৌলানা আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এদিনের সভায় বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক জনাব ড. জাফর সাদিক এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান নাসিমা খাতুন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাতঘরা হাই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেখ ইবাদুল ইসলাম, পরিচালন সমিতির সভাপতি গোলাপ রহমান, শিক্ষক শেখ মনিরুদ্দীন, শিক্ষিকা সানজিদা খাতুন, খোদেজা খাতুন, কুতুবউদ্দিন মোল্লা, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, সমীরণ জানা। এই মহতি সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিচালন সমিতির সম্পাদক সেখ নুর নবী। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেখ ইবাদুল ইসলাম ও শিক্ষক ওয়াউল ইসলাম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct