আপনজন ডেস্ক: বিশ্বকাপের শেষটাও জয়ে রাঙাতে পারেনি পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গেছে ৯৩ রানে। ইংলিশদের দেওয়া ৩৩৮ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজমদের ইনিংস থামে ২৪৪ রানে। ৯ ম্যাচে ৪ জয় ও ৫ হারে ১০ দলের টুর্নামেন্টে পঞ্চম হয়ে শেষ করল পাকিস্তান।
৯ ম্যাচে ৩ জয় ও ৬ হারে ৭ নম্বরে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করল ইংল্যান্ড। এতে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেল ইংলিশদের।
সেমিফাইনালের সমীকরণ মেলাতে হলে অসম্ভব কিছু করে দেখাতে হতো পাকিস্তানকে। ৩৩৮ রানের লক্ষ্য ছুঁতে হতো ৬ ওভার ৪ বলের মধ্যে।
তা অসম্ভব বলেই ম্যাচ জয়ে নজর ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে বাজে শুরু হয় ১৯৯২ চ্যাম্পিয়নদের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ডেভিড উইলির বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে ২ বলে শূন্য রানে ফেরেন আবদুল্লাহ শফিক। তৃতীয় ওভারে আবারও উইলির আঘাত।
১ রান করা ফখর জামানকে ফেরান।
এরপর ৫১ রানের জুটি গড়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাবর ৩৮ এবং রিজওয়ান ৩৬ রানে ফিরে গেলে হাল ধরেন সউদ শাকিল ও আঘা সালমান। ২৯ করা শাকিলকে বোল্ড করে ফেরান আদিল রশিদ। এর মাঝে ফিফটি পূরণ করেন সালমান।
তবে ৫১ রানে তাঁকে ফেরান উইলি। পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও শেষ দিকে হারিস রউফের ৩ ছক্কায় শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছে পাকিস্তান।
এর আগে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বড় সংগ্রহ করে ইংলিশরা। জনি বেয়ারস্টো, জো রুট ও বেন স্টোকসের ফিফটিতে ৩৩৭ রানে থামে তাদের ইনিংস। ইংল্যান্ডকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার দাভিদ মালান ও জনি বেয়ারস্টো। দুজন গড়েন ৮২ রানের জুটি। ইফতিখার আহমেদের বলে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ হয়ে মালান ৩১ করে ফিরলেও বেয়ারস্টো তুলে নেন ফিফটি। তাঁর ইনিংস থামে ৫৯ রানে।
এরপর জো রুট ও বেন স্টোকস গড়েন ১৩২ রানের জুটি। রুটের ব্যাট থেকে আসে ৬০ রান। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হওয়ার আগে স্টোকস করেন ৮৪ রান। শেষ দিকে জস বাটলারের ২৭, হ্যারি ব্রুকের ৩০ রানে বড় সংগ্রহ পায় ইংলিশরা। হারিফ রউফের শিকার ৩ উইকেট। শাহীন ও ওয়াসিম জুনিয়র নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct