আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শাসক গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে উভয় পক্ষের মোট ১২ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) উভয় পক্ষের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে এ খবর জানা গেছে।গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ১০ হাজার ৮১২ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়াও, পশ্চিম তীরে ১৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চার হাজার ৪১২ জনই শিশু।ওদিকে দখলদার ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের অভিযানে তাদের এক হাজার ৪০৫ জন নাগরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর শুরু করা স্থল হামলায় এখন পর্যন্ত নিজেদের অন্তত ৩৫ সেনার মৃত্যু হয়েছে।ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালের কাছে হামাসের একটি সামরিক জোনে আক্রমণ করেছে। হামরায় সামরিক অঞ্চলের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং ৫০ জনের বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মতে, সামরিক অঞ্চলটি হামাসের গোয়েন্দা ও অপারেশন কেন্দ্র। ওই অঞ্চলে তাদের সামরিক অভিযান এখনও চলছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড ঘোষণা করেছে, তারা দক্ষিণ ইসরায়েলি শহর আশদোদ এবং একটি ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট নিক্ষেপ করেছে। এছাড়াও, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। অনেক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।শুক্রবার ইসরায়েল অন্তত তিনটি হাসপাতাল বা এর কাছাকাছি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে গাজার কর্মকর্তারা বলেছেন। ইসরায়েলের হামলায় বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আরো বিপন্ন করে তুলেছে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘ইসরায়েল গত কয়েক ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি হাসপাতালে একযোগে হামলা চালিয়েছে।’কিদরা বলেন, ইসরায়েল গাজা শহরের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।এতে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তবে বিস্তারিত কিছু তিনি জানাননি। ইসরায়েল বলেছে, আল শিফার নিচে হামাসের লুকানো কমান্ড সেন্টার এবং টানেল রয়েছে। গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল কাছাকাছি রকেট হামলার হয়েছে। ফলে হাসপাতালটি কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, শুক্রবারের মধ্যে হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ, জ্বালানি প্রায় শেষের দিকে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct