নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম, আপনজন: ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর জমি আন্দোলন ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম আন্দোলনকারী ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তত্কালীন বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে।গুলিতে মৃত্যু হয় অনেকের।তারপর থেকে প্রতি বছর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে পালিত হয় নন্দীগ্রাম দিবস।বাম জমানার নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ১৬ বছর পার,অনেক পরিবর্তন,রক্তক্ষয়ী অভিযানে প্রাণ হারিয়েছিলেন জমি আন্দোলনের নেতা ও কর্মীরা। এখনও নিখোঁজ অনেকেই। ১০নভেম্বর আজকের দিনে নন্দীগ্রাম গোকুলনগরের করপল্লীতে শহীদ স্মরণের আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই শহীদ দিবস উদযাপনে এসে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন।তিনি বলেন ২০২৪ সালে বিজেপি সরকার পরিবর্তনের পর ইডি-সিবিআই-র হাতেই গ্রেফতার হবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।শুক্রবার নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে এইভাবে শুভেন্দুকে একহাত নিলেন কুণাল ঘোষ,তিনি সাফ জানান বিজেপি সরকার পড়ে গেলে শুভেন্দুকেই গ্রেফতার হতে হবে।কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণের করছে বিজেপি তার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন কুণাল।আর সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই তিনি স্পষ্ট জানান, ”চোরের মায়ের বড় গলা। ২০২৪ সালে সরকার বদল হলে ইডির হাতেই গ্রেফতার হবেন শুভেন্দু।লিখে রেখে দিন।সাধারণ মানুষও বুঝছেন রাজনৈতিক চক্রান্ত করে কী ভাবে তৃণমূলের একের পর এক নেতাকে জেলে ঢোকানো হচ্ছে।মানুষ ভোটের বাক্সে জবাব দেবে। ২৪ সালে বুঝবে কত ধানে কত চাল, বাইরে থেকে বাসে করে লোক এনে সভা করেছে শুভেন্দু। তবে নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে, আর সেই কারণেই সকাল সকাল শুধুমাত্র লোক দেখানোর রাজনীতি করতেই বিজেপির এমন পরিকল্পনা। এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিধায়ক উত্তম বারিক, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য সেক সামসুল ইসলাম,পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সাংগঠনিক বিভাগের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সেক আজগর আলী সহ অনেকেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct