আপনজন ডেস্ক: ‘ক্যাশ ফর কোয়েরি’ বিতর্কে লোকসভার এথিক্স কমিটির বহিষ্কারের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এটিকে “ক্যাঙ্গারু আদালতের পূর্বনির্ধারিত ম্যাচ” বলে অভিহিত করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন এটি প্রকৃত পক্ষে ভারতে ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের মৃত্যু’ বোঝায়। উল্লেখ্য, বিজেপি সাংসদ বিনোদ কুমার সোনকরের নেতৃত্বাধীন কমিটি বৃহস্পতিবার মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই লোকসভায় আমাকে বহিষ্কার করা হলেও, আমি আগামী লোকসভায় আরও বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরব। এটি ক্যাঙ্গারু কোর্টের একটি পূর্বনির্ধারিত ম্যাচ, যা কোনও আশ্চর্য বা পরিণতি নয়। কিন্তু দেশের জন্য বৃহত্তর বার্তা হল, ভারতের জন্য এটা সংসদীয় গণতন্ত্রের মৃত্যু।তিনি জোর দিয়ে বলেন এই সিদ্ধান্ত তাকে “বিজেপি-আদানি জোট” কে আরও জোরালোভাবে প্রশ্ন করা এবং উন্মোচন করা থেকে বিরত রাখবে না। মহুয়া আরও বলেন, এটি কেবল একটি সুপারিশ, এখনও পর্যন্ত কিছুই ঘটেনি। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিষয়টি উত্থাপন করতে দিন। এটা আসলে আমার জন্য কিছুই করে না। এটা আমাকে চুপ করিয়ে দিতে পারে না। অন্যদিকে, দলীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে মুখ খুলল তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার মহুয়া মৈত্রের প্রতি জোরালো সমর্থন জানিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের কথিত স্কুল চাকরি কেলেঙ্কারির তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সামনে হাজিরা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অভিষেক প্রশ্ন তোলেন,মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই সংসদীয় কমিটি কীভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারে। তিনি বলেন, আদানি ইস্যুতে যারাই সরকারকে প্রশ্ন করছে, তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই লোকসভার নৈতিকতা কমিটি কীভাবে তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে, সে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct