মনিরুজ্জামান, বারাসত, আপনজন: দুর্গাপূজোর সময় সবাই যখন আনন্দে মাতোয়ারা তখন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকের দেগঙ্গা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্তিকপুর গ্রামের গৌরকৃপা দাসের স্ত্রী অনিতা দাস ও মেয়ে স্বাতী দাস ঘরের মধ্যে নিজেদের স্বেচ্ছায় বন্দী করে রেখেছিলেন। পড়শিরাও তাঁদের দেখতে পাননি। অবশেষে বিষয়টি জানতে পেরে দেগঙ্গা থানার পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে। ভর্তি করা হয় স্থানীয় বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। জানা গিয়েছে, গৌরকৃপা দাস ছিলেন এনভিএফ কর্মী।২০২১ সালে তিনি মারা যান।পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন গৌরকৃপা দাস। তাঁর মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়ে পরিবার। কোনওরকমে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন সংসার। কিন্তু আর পারছিলেন না গৌরকৃপা দাসের পরিবার। কখনও আধপেটা খেয়ে, কখনও না খেয়ে চলছিল দিন। তারপরই তাদের দেখতে না পেয়ে পুলিশের উদ্ধার করা। এই সংবাদ পাওয়ার পর বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ক্ষুদ্র শিল্প, বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মফিদুল হক সাহাজি এনজিও-দের নিয়ে গৌরকৃপা দাসের বাড়িতে যান। তিনি বলেন, চাল, ডালসহ শুকনো খাবার সহ সংসার চালাতে যা লাগে সেগুলো নিয়ে যাই। তারা যদি রান্না করতে না পারলে এনজিও-রা খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর প্রয়োজনে বারাসাত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।এককথায় আমরা এই পরিবারের পাশে আছি। যাতে করে তাঁরা ভালো থাকেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct