সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়, আপনজন: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড়ে নতুন করে বিতর্কে জড়াল তৃণমূল। সরকারি জমি দখল করে দলীয় কার্যালয় নির্মানের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তীর দোর্দন্ড প্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার সমালোচনায় সরব হয়েছে আইএসএফ।স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাঙড়ের বামনঘাটা অঞ্চলের বামনঘাটায় বাসন্তী হাইওয়ের ধারে খালপাড়ে সেচ দফতরের খাস জমিতে গড়ে উঠছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়। ইতিমধ্যে বামনঘাটায় তৃণমূল ও তার অঙ্গসংগঠন গুলির ৭ টি কার্যালয় রয়েছে।বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন একই জায়গায় এতগুলো কার্যালয় থাকতে ফের কেন নতুন কার্যালয় নির্মানের প্রয়োজন হচ্ছে। তাদের অভিযোগ এলাকায় তোলাবাজি করার জন্য আরাবুল ইসলাম ও তাঁর অনুগামীরা সরকারি জায়গা দখল করে দলীয় কার্যালয় তৈরির প্রতিযোগিতা করছে। ভাগ বাটোয়ারা ঠিকমতো না হলেই নতুন গোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে। মানুষের উন্নয়নের বদলে তৃণমূল নেতারা অবৈধভাবে নিজেদের উন্নতির জন্য একেরপর এক কার্যালয় নির্মাণ করছে। এগুলো আসলে দলীয় কার্যালয় নয়, তোলাবাজি ও ভাগবাটোয়ারা করার আখড়া।তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ তুলে আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, এলাকায় সিন্ডিকেটরাজ চালানোর জন্য আরাবুল ইসলাম ও বামনঘাটার প্রধান মৌমিতা নস্কর, উপ প্রধান নিত্যগোপাল মন্ডলরা একই গ্রামে ৭ টি কার্যালয় তৈরি করেছে। পুলিশ এই অনৈতিক কাজ বন্ধ করুক। না হলে গনতান্ত্রিক পথে কিভাবে এই অনৈতিক কাজ বন্ধ করা যায় সেটা আমরা দেখব।অভিযোগ সম্পর্কে ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক আরাবুল ইসলাম বলেন, সেচ দফতরের অব্যবহৃত জায়গায় দলীয় কার্যালয় নির্মান হচ্ছে এটা সত্যি। তবে ওখানে আগে থেকেই দলীয় কার্যালয় টি ছিল। পুনরায় মেরামত করা হচ্ছে। সেচ দফতর যখন জায়গাটি ব্যবহার করবে, তখন কার্যালয় সরিয়ে নেওয়া হবে। ৭ টি কার্যালয় রয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে আরাবুল ইসলাম তা অস্বীকার করে বলেন, কারও ব্যক্তিগত বসার জায়গাকেও বিরোধীরা দলীয় কার্যালয়ের তকমা লাগিয়ে দিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct