সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম, আপনজন: সম্প্রতি রাজনগরে লক্ষী পুজার খিচুড়ি কান্ডের জেরে স্থানীয় আড়ালী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা।অভিযোগ ছিল রান্নাঘরের কাঠামো ঠিক নেই। খাবারের মধ্যে পোকা মাকড় তথা বিষাক্ত কিছু পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। ঘটনার সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই আজ বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকের রানীপাথর গ্রামের দাসপাড়া ৩৮ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়িতে টিকটিকি দেখা যায়,যা নিয়ে গ্রামজুড়ে আতঙ্কের ছায়া।এদিন সেন্টারের মিডডে মিল খাওয়া শিশু ও মায়েদের তড়িঘড়ি নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন গ্রামবাসীরা। প্রায় ১৫-২০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও তাঁরা প্রত্যেকেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে তৃণমূল ও বিজেপি নেতৃত্ব প্রত্যেকেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপস্থিত হন। পাশাপাশি দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা এম্বুলেন্স পাঠিয়েছেন অসুস্থদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য।অঙ্গনওয়ারী কর্মী সুমিত্রা দাস জানান প্রতি দিনের মতো আজও মা এবং বাচ্চা মিলিয়ে ১০০ জনের খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিল। মোটামুটি ৫০ জনের মতো মা বাচ্চার খাবার দেওয়ার পর বাড়ি নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে এক মা বাড়ী থেকে খিচুড়ি এনে বলে খিচুড়িতে টিকটিকি রয়েছে। সেই কথা শোনা মাত্র সাথে সাথে গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।খাবার দেওয়া বন্ধ করে ১৫- ২০ জন মা বাচ্চাকে তড়িঘড়ি নাকড়াকোন্দা প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। নাকড়াকোন্দা বি এম ও এইচ জানান সকলেই সুস্থ আছে।পাশাপাশি স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব, বিধায়ক, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সহ গ্রামবাসী পৃথক পৃথক ভাবে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন। ঘটনার বিষয়ে আতঙ্কিত হয়ে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তিরত মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কিত বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেন খয়রাসোল বিএম ও এইচ ডাক্তার সব্যসাচী রায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct