সাদ্দাম হোসেন, জলপাইগুড়ি, আপনজন: এতদিনে তো নদী চুরি ও সরকারি জায়গা দখল করার কথা শুনেছেন। এবার দিনে দুপুরে এবং রাতের অন্ধকারে দেদার সাফাই হয়ে যাচ্ছে সরকারি মূল্যাবান গাছ। সব দেখেও নিরব পঞ্চায়েত প্রধান থেকে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া কদমতলা থেকে জলঢাকা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা। রাস্তার দু’পাশে রয়েছে বহু মূল্যবান গাছ যা রাতের অন্ধকারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে কিছু দুষ্কৃতীরা। গোটা রাস্তাটাই জেলা পরিষদের অধীনস্থ। এসবের পেছনে শাসকদলের নেতাদের মদত রয়েছে বলেই অভিযোগ বিজেপির।সড়কের পাশে থাকা গাছগুলোর মধ্যে মূল্যবান সেগুন গাছগুলোকে বেছে বেছে কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ, পড়ে থাকছে গুড়ি গুলি। এইভাবে দিনে দুপুরে এবং রাতের অন্ধকারে অবাধে গাছ কাটলে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাবে এমনটাই দাবি করছে পরিবেশপ্রেমীরা। যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। জেলা পরিষদকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বারংবার অভিযোগ করছে কখনো জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে তৃণমূলে পার্টি কার্যালয় আবার কখনো জেলা পরিষদের সরকারি গাছ কেটে হাফিস হয়ে যাচ্ছে তারপরেও নীরব জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত।বিরোধী দলের নেতা চন্দন দত্ত কটাক্ষ করে বলেন, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের জায়গা থেকে গাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে লুট হয়ে যাচ্ছে এটা তো স্বাভাবিক ঘটনা। ধূপগুড়িতে এর আগেও ঘটেছে বিডিও অফিসের ভেতরে শতাধিক গাছ রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে গেছিল। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কোন নজরদারি নেই ধূপগুড়িতে। শাসকদলের মদদ না থাকলে এইভাবে সরকারি জায়গা থেকে গাছ পাচার হতে পারে না, কারণ ওই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলেই রয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা বৈদ্যনাথ রায় বলেন, গাছ জীবন দেয় সকলে জানে তার পরেও কিছু মানুষ রাতের অন্ধকারে গাছ চুরি করে সাফাই করে ফেলছে। এখনো পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি। জেলা পরিষদের গ্রাম পঞ্চায়েতে উচিত নজরদারি বাড়ানো।এদিকে গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ফনীন্দ্রনাথ রায় বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন , যারা রাতের অন্ধকারে করেছে তারা সমাজ বিরোধী। তারা এই ধরনের কাজ করে তারা কোন রাজনৈতিক দলের হয় না। রাজনৈতিক দলের বলাটা ভুল হবে। এই গাছ কাটার বিষয়ে আমি বনদপ্তর কে জানিয়েছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে জানিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct