আপনজন ডেস্ক: মঙ্গলবার বিহার রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা জাতিগত সমীক্ষার বিশদ রিপোর্ট অনুযায়ী, বিহারে বসবাসকারী এক তৃতীয়াংশেরও বেশি পরিবার দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে এবং তাদের মাসিক আয় ৬,০০০ টাকা বা তারও কম। ২৯.৬১ শতাংশ ১০,০০০ টাকা বা তারও কম আয় করে বেঁচে থাকে। এতে আরও বলা হয়েছে যে প্রায় ২৮ শতাংশ ১০০০০ থেকে ৫০,০০০ এর মধ্যে আয় করে এবং মাত্র চার শতাংশেরও কম প্রতি মাসে ৫০,০০০ এর বেশি আয় করে। প্রতিবেদনে উচ্চ বর্ণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দারিদ্র্যের কথাও স্বীকার করা হয়েছে, যদিও প্রত্যাশিতভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, দলিত এবং উপজাতিদের মধ্যে এই হার অনেক বেশি ছিল। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরির পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে প্রায় ২.৯৭ কোটি পরিবার বাস করে, যার মধ্যে ৯৪ লক্ষেরও বেশি (৩৪.১৩ শতাংশ) দরিদ্র।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল যে ৫০ লক্ষেরও বেশি বিহারি জীবিকা বা উন্নত শিক্ষার সুযোগের সন্ধানে রাজ্যের বাইরে বসবাস করছেন। অন্যান্য রাজ্যে জীবিকা নির্বাহকারীদের সংখ্যা প্রায় ৪৬ লক্ষ এবং আরও ২.১৭ লক্ষ বিদেশে জীবিকা খুঁজে নিয়েছেন। অন্যান্য রাজ্যে পড়াশোনারত দের সংখ্যা প্রায় ৫.৫২ লক্ষ এবং প্রায় ২৭,০০০ বিদেশে। মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরি জানান, বিহারের সামগ্রিক সাক্ষরতার হার ৭৯.৭ শতাংশ। পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার বেশি। প্রতি ১,০০০ পুরুষের জন্য ৯৫৩ জন (সাক্ষর) মহিলা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ২০১১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৯১৮।মাত্র ২২.৬৭ শতাংশ পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন, তবে তফসিলি জাতির লোকদের ক্ষেত্রে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.৩১ শতাংশ এবং অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের ক্ষেত্রে ২৪.৬৫ শতাংশ। সাধারণ শ্রেণীর মধ্যে এটি মাত্র ১৭.৪৫ শতাংশ। ২১৫ টি তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, অনগ্রসর শ্রেণি এবং অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণীর অর্থনৈতিক অবস্থার উপর এই জাতিগত সমীক্ষা করা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর জাতিগত সমীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তাতে বিহার সরকারের রিপোর্টের সামগ্রিক তথ্য উদ্বেগজনক বলে সামনে আসে।জাতিগত আদমশুমারি করতে কেন্দ্রের অনিচ্ছার পরে নীতীশ কুমার এই সমীক্ষার আদেশ দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct