আজিম শেখ, রামপুরহাট, আপনজন: আবারও মানবতার নজির গড়ল রামপুরহাট শহরের সেচ্ছাসেবী সংস্থা হাতটা বাড়িয়ে দাও এবং তাদেরকে পূর্ণ সহযোগিতা করল রামপুরহাট ভাড়শালা কবরস্থান কমিটি। উল্লেখ্য ৪ ই নভেম্বর শনিবার রাত্রে রামপুরহাট রেল স্টেশনে একটি ট্রেনের মধ্যে থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট জিআরপি। জানা গিয়েছে ঐ মৃত মহিলার নাম মনোয়ারা খাতুন, বয়স ৩৯ বছর, বাড়ি পাশের রাজ্য আসামের নকুঠি গ্রামে। তখন ওই মৃত মহিলার সঙ্গে ছিলেন বড়ো ছেলে নাম মেরাজুল ইসলাম বয়স ১৮ বছর, পেশায় রাজমিস্ত্রী, ছোট ছেলে মইনুল ইসলাম বয়স ১০ বছর, মেয়ে হাসিনা খাতুন, বয়স ২ বছর। মৃতদেহ উদ্ধারের পর রামপুরহাট রেলের জিআরপি অফিসে বাচ্চাদের বসিয়ে তাদের মুখ থেকে তাদের দরিদ্রতার কথা জানতে পারেন। তিনারা এও জানতে পারেন ওই মহিলার স্বামী কিছুদিন আগেই মারা গিয়েছেন। এখন এই বাচ্চা গুলির অভিভাবক তিনই ছিলেন। এরপর জিআরপির ওসি মৃতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তিনি এটাও জানতে পারেন যে তাদের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার সমর্থ পর্যন্ত নেই। তারপরেই ৫ই নভেম্বর রবিবার জিআরপির পক্ষ থেকে রামপুরহাটের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাতটা বাড়িয়ে দাও এর কর্ণধার ইউসুফ আলীকে পুরো বিষয়টি খুলে বলেন। এরপরেই ইউসুফ আলী এবং সংস্থার সদস্যরা মৃত মহিলার রামপুরহাট ভাড়শালা কবরস্থানে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। রবিবার দুপুরবেলা আসাম থেকে মৃতার মামা সহ পরিবারের লোকজনেরা রামপুরহাটে আসেন এবং ইউসুফ আলীর সঙ্গে দেখা করে বৈকাল ৫ টার সময় রামপুরহাট ভাড়শালা পাড়ার কবরস্থানে শেষ কৃত্য সম্পন্ন করেন। এই মহতি কাজে হাতটা বাড়িয়ে দাও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে পূর্ণ ভাবে সহযোগিতা করে রামপুরহাট ভাড়শালা পাড়ার কবরস্থান কমিটি। শেষ কাজ সম্পূর্ণ করে হাতটা বাড়িয়ে দাও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পক্ষ থেকে মৃতার মামার হাতে তিনটি বাচ্চাকে তুলে দেওয়া হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct