আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নজিরবিহীন বোমা হামলা বন্ধ ও নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশে ইন্দোনেশিয়ায় বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাকার্তার এই বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নিয়েছে দেশটির প্রায় ২০ লাখ মানুষ। রোববার (৫ নভেম্বর) দেশটির রাজধানী জাকার্তার ন্যাশনাল মনুমেন্ট (মোনাস) চত্বরে বিক্ষোভ-সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এটা ছিল গত এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ-সমাবেশ। পর্যবেক্ষক ও আয়োজকরা বলছেন, সকালেই লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে জাকার্তার মোনাস চত্বর। এই বিক্ষোভে অন্তত ২০ লাখ মানুষ অংশ নেয়। বিক্ষোভ-সমাবেশের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে।সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদন মতে, প্রধানত সাদা পোশাক ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক সাদা-কালো রঙের কুফিয়াহ পরে ইন্দোনেশীয়রা এই বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেয়।
এ সময় তাদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা ও নানা প্রতিবাদী বক্তব্য ও স্লোগান লেখা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড। গাজা অবরোধ ও ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি জানিয়ে তারা ‘আল্লাহু আকবার’ ও ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দেয়।মোনাস স্কয়ার তথা ন্যাশনাল মনুমেন্ট চত্বরে বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়। এছাড়া বিক্ষোভ-সমাবেশের পুরো এলাকাজুড়ে বসানো হয় বড় বড় টিভি স্ক্রিন। সেসব স্ক্রিনে দেখানো হয় গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার ও বর্বর হামলা ও ফিলিস্তিনিদের হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য। বিক্ষোভ-সমাবেশ বক্তব্য রাখেন দেশটির মুসলিম নেতারা। তারা অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধ, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ তদন্তের পাশাপাশি ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেন। এ সময় পুরো এলাকাজুড়ে ধ্বনিত হয়, ‘ইসরায়েলিরা নিপীড়ক, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর’ স্লোগান। আরও শোনা যায়, ‘ফিলিস্তিনিদের পাশে আছে ইন্দোনেশিয়া’। শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে দেশটির সর্বোচ্চ ইসলামি কর্তৃপক্ষ ইন্দোনেশিয়ান উলেমা কাউন্সিল। এতে অন্যান্য মুসলিম সংগঠনগুলোর পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় সংগঠনগুলোও অংশ নেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct