আপনজন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের এক মুসলিম শিশু ছাত্রকে চড় মারার ঘটনায় সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে, নির্যাতিতাকে একটি বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার যে কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে, তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। বিচারপতি অভয় এস ওকা প্রশ্ন তোলেন, এর জন্য আপনাকে কেন একটি কমিটি নিয়োগ করতে হবে? আদালত মৌখিকভাবে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে যে, যে স্কুলে শিশুটির বাবা তাকে ভর্তি করাতে আগ্রহী, সেই স্কুলের প্রিন্সিপালের সঙ্গে একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা যেন কথা বলেন। বিচারপতি ওকা বলেন, আমি মনে করি না যে কোনও স্কুল মামলার সত্যতা বিবেচনা করে না বলবে। শুক্রবারের মধ্যে তার বাস্তবতা চাই। বিচারপতি অভয় এস ওকা ও পঙ্কজ মিথলের বেঞ্চ এই ঘটনার সুষ্ঠু ও সময়সীমাবদ্ধ তদন্তের দাবি জানিয়ে তুষার গান্ধির দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানি করছিল। উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্কুল পড়ুয়াদের তাদের মুসলিম সহপাঠীকে চড় মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যার একটি ভিডিও গত আগস্ট মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে আদালত মুজাফফরনগরের পুলিশ সুপারকে তদন্তের অগ্রগতি ও শিশু সুরক্ষায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। গত শুনানিতে পুলিশ সুপারের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের মামলা পরিচালনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে। বিশেষ করে এফআইআর দায়ের করতে দেরি এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের অভিযোগ বাদ দেওয়া নিয়ে। ফলে আদালত একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। শিক্ষার অধিকার আইন এবং সংবিধানের ২১এ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্যাতিত শিশুদের বিশেষজ্ঞ কাউন্সেলিং প্রদান এবং ভুক্তভোগীকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে আরও বলা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct