আপনজন ডেস্ক: জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দের সর্বভারতীয় সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানি রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, হামাস যোদ্ধাদের সন্ত্রাসী বলা যাবে না কারণ তারা তাদের দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। তারা স্বাধীনতা সংগ্রামী। তিনি বলেন, ‘যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে তাদের মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়, সন্ত্রাসী বলা হয় না। গাজায় চলমান ইসরায়েলি বোমা হামলায় হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব জানে যে ইসরায়েল একটি দখলদার এবং জোর করে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড অবৈধভাবে দখল করেছে, যার স্বাধীনতার জন্য ফিলিস্তিনের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করছে। মাদানি বলেন, লোকেরা যদি সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেলগুলি থেকে তাদের মতামত গঠনের পরিবর্তে ইতিহাস অধ্যয়ন করে তবে সত্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে উঠে আসবে কে অত্যাচারী এবং কে নির্যাতিত। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধের বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জমিয়ত উলামা হিন্দের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানি বলেন, একদিকে একজন আছে যিনি বিশ্বের আধুনিক ও প্রাণঘাতী অস্ত্রে সজ্জিত এবং যাকে বিশ্বের অনেক শক্তিধর দেশের প্রকাশ্য সমর্থন রয়েছে, অন্যদিকে একজন অসহায় ও নিরস্ত্র। তাই ফিলিস্তিনিরা নিপীড়িত বলা ন্যায়সঙ্গত হবে।তিনি বলেন, বিশ্ব জানে ইসরাইল বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের জমি অবৈধভাবে দখল করেছে, যার মুক্তির জন্য ফিলিস্তিনি জনগণ দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছে। মাদানি স্বাধীন ফিলিস্তিনের জন্য সংগ্রামরত হামাস প্রসঙ্গে তিমহাত্মা গান্ধী ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কথা উল্লেখ করে বলেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে মহাত্মা গান্ধী অহিংসার পক্ষে ছিলেন, যিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। অন্যদিকে, নেতাজি ছিলেন সহিংসতার পক্ষে, তিনি বিশ্বাস করতেন যে ব্রিটিশরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এখান থেকে চলে যাবে না কিন্তু এর জন্য একটি সহিংস আন্দোলনের প্রয়োজন ছিল। সেজন্য তিনি বলেছিলেন, তোমরা আমাকে রক্ত দাও। আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct