আপনজন ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরাবরই সরব আকাশ চোপড়া। বিশ্বকাপ উপলক্ষে ভারতের সাবেক এই টেস্ট ওপেনারের ব্যস্ততা আরও বেড়েছে। নিজের ইউটিউব চ্যানেল তো আছেই, এ ছাড়া একাধিক টিভি চ্যানেলে বিশ্লেষকের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ব্যস্ততার মধ্যেই আইনি জটিলতায়ও জড়াতে হয়েছে আকাশকে।আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তুলে কমলেশ পারেখ নামের এক ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলে ধ্রুব পারেখের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন আকাশ। ৪৬ বছর বয়সী আকাশের বাড়ি ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায়। সেখানকার হরিপ্রভাত থানায় কমলেশ ও ধ্রুবর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন আকাশ। কমলেশ ও ধ্রুব হায়দরাবাদের বাসিন্দা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমলেশ পারেখ হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এইচসিএ) সাবেক ব্যবস্থাপক। এ ছাড়া তিনি একজন জুতা (স্পোর্টস শু) ব্যবসায়ী। সেকেন্দ্রবাদে ক্রীড়াসামগ্রীর দোকানও আছে। সেই ব্যবসাতেই বিনিয়োগ করেছিলেন আকাশ।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, জুতার ব্যবসায় বিনিয়োগ হিসেবে কমলেশের ছেলে ধ্রুবকে ৫৭ লাখ ৮০ হাজার ভারতীয় রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা) দিয়েছিলেন আকাশ। এর মধ্যে ফেরত পেয়েছেন ২৪ লাখ ৫০ হাজার রুপি (৩২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা)। বাকি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি ফেরত চাইতে গেলে নানা রকম টালবাহনা করতে থাকেন ধ্রুব। একপর্যায়ে বাবা-ছেলে আকাশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তাই বাধ্য হয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪০৬ ধারা (বিশ্বাসভঙ্গ) অনুযায়ী মামলাটি করেছেন আকাশ।ভারতের হয়ে ১০টি টেস্ট খেলা আকাশ এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছিল। চুক্তিপত্রে লেখা ছিল তারা ২০ শতাংশ মুনাফাসহ ৩০ দিনের মধ্যে আমার টাকা ফেরত দেবে। কিন্তু এক বছর পর তারা মাত্র ২৪ লাখ ৫০ হাজার রুপি দিয়েছে। ধ্রুবর বাবা কমলেশ আমাকে কথা দিয়েছিল যে তারা চুক্তিভঙ্গ করবে না। কিন্তু এখন তারা আমার ফোন ধরছে না। আমার আসল টাকা (বাকি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি) ফেরত দিতে হবে।’পুলিশ কর্মকর্তা অরবিন্দ কুমার জানিয়েছেন, আকাশ চোপড়ার করা মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের থানায় ডাকা হবে।আফগানিস্তানের হার এই বিশ্বকাপের সত্যিকারের অঘটন’পারেখ পরিবারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক চাহারের স্ত্রী জয়া ভরদ্বাজ কমলেশ ও ধ্রুবর বিরুদ্ধে ১০ লাখ রুপি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনেন। অর্থ ফেরত চাইলে জয়াকে হুমকিও দেওয়া হয়। এ ঘটনায়ও কমলেশ ও ধ্রুবর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দীপক চাহারের বাবা লোকেন্দ্র সিং চাহার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct