মুদাসসির নিয়াজ, কলকাতা, আপনজন: দেখতে দেখতে ৫০ বছরের পথ পরিক্রমা সম্পূর্ণ করল ‘মীযান’ পত্রিকা। সেই উপলক্ষে প্রকাশিত হল সাপ্তাহিক ‘মীযান’-এর সুবর্ণ জয়ন্তী সংখ্যা। যা বাংলা সংবাদপত্র জগতে নিঃসন্দেহে এক মাইলফলক। শনিবার ৪ নভেম্বর কলকাতায় মীযান অফিসে এর উদ্বোধন হল। উপস্থিত ছিলেন মীযান এর সম্পাদক ডা. মসিহুর রহমান, বিআইপিটি ট্রাস্টের সেক্রেটারি রহমত আলী খান, মীযান এর প্রকাশক নাসিম আলি, নিবন্ধকার এম তাহেরুল হক, বিআইপিটি-র ম্যানেজার সেখ মহিম উদ্দীন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মীযান পত্রিকার এজেন্টরা। উল্লেখ্য, মীযান এর ৫০ বছর উপলক্ষে ডিসেম্বর মাসে মূল অনুষ্ঠান হবে কলকাতায়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি জেলায় এই উপলক্ষে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। মাওলানা তাহেরুল হক সাহেবের তাযকির বিল কুরআনের মাধ্যমে আজকের প্রোগ্রাম শুরু হয়। সুদীর্ঘ অর্ধ শতাব্দীকাল ধরে যেভাবে মীযান পত্রিকা বিভিন্ন জেলার মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে তার জন্য এজেন্টদেরকে মুবারকবাদ জানান প্রকাশক নাসিম আলি। তিনি বলেন, আজকের ইন্টারনেটের যুগেও মীযান কেন পড়তে হবে, সেটা বুঝতে হবে। মীযান তার লেখনীর মধ্য দিয়ে ইসলামের সঠিক রূপরেখা তুলে ধরার চেষ্টা করে। এখন সাপ্তাহিকের পাশাপাশি মীযান এর ওয়েব পোর্টালও চালু হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন চলমান সংবাদ আপলোড হয়।
বিআইপিটি ট্রাস্টের সেক্রেটারি রহমত আলী খান সাহেব বলেন, দীর্ঘ ৫ দশক ধরে কওম ও মিল্লাতের স্বার্থে নীরবে কাজ করে চলেছে মীযান পত্রিকা। এটা শুধুমাত্র সংবাদপত্র নয়, খবরের পাশাপাশি একইসঙ্গে ইসলাহ এবং দাওয়াতেরও কাজ করে মীযান। মীযান এর সম্পাদক ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. মসিহুর রহমান বলেন, এই পত্রিকার নেপথ্যে যারা যেভাবে নিজ নিজ জায়গা থেকে সাধ্যমতো আঞ্জাম দিয়েছেন ও দিচ্ছেন, আল্লাহ তাদের সবার খিদমত কবুল করুন। একসময় এই পত্রিকাই ছিল সাহিত্য ও সংবাদের সূতিকাগার। যখন আনন্দবাজার, বর্তমানের মতো হাতে গোনা কয়েকটা মাত্র বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র ছিল, তখন মীযান থেকে বহু লেখক, সাহিত্যকর্মী, সাংবাদিক তৈরি হয়েছে। পরবর্তীতে তারা কর্মক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি জানান, সুবর্ণ জয়ন্তী সংখ্যাতেও দেশের বাইরে থেকে জনা চারেক লেখা পাঠিয়েছেন। মীযানের আরও শ্রীবৃদ্ধির জন্য সকলের কাছে দোওয়ার আবেদন জানান তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct