অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট, আপনজন: জমিতে ধানের নাড়া বা খড় পোড়ালে প্রশাসনের তরফে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা। সতর্ক করছে কৃষি দফতর। যে কোন ফসলের অবশিষ্ট অংশ জমিতে পোড়ানো আইনত নিষিদ্ধ। এরপরও নানা সময় এই দৃশ্য সামনে আসে। এই বিষয়ে জনসমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এদিন রাস্তায় নামে কৃষি দপ্তর। উল্লেখ্য, ৩ নভেম্বর দিনটি সরকারি ভাবে ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানো প্রতিরোধী দিবস হিসাবে পালন করা হয়। শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে এই দিনটি পালন করা হল। এদিন বালুরঘাট জেলা প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন ব্লক কৃষি দপ্তরের তরফে চেতনতামূলক র্যালি বের করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন, বালুরঘাট ব্লক সহ কৃষি আধিকারিক তনয় সাহা, বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার সহ আরো অনেকে।জানা গিয়েছে, জমি থেকে ফসল কেটে নেওয়ার পর অবশিষ্ট অংশ পড়ে থাকে। অধিকাংশ কৃষক অসচেতন ভাবে জমিতে পড়ে থাকা ফসলের অবশিষ্ট অংশ আগুনে পুড়িয়ে দেন। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ হয়, পাশাপাশি কৃষিজমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়। জমির মান কমে আসে। তাই এই সমস্ত বিষয় থেকে বিরত থাকবার জন্যই জনসমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এদিন বালুরঘাট ব্লক কৃষি দপ্তরের তরফে র্যালি করা হয়।এ বিষয়ে বালুরঘাট ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা তনয় সাহা জানান, ‘নাড়া পোড়ানোর বিরুদ্ধে সচেতনতা শিবির করছি। নানা সময় দেখা যায় ধান কাটার পরে জমিতে নাড়া পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরফলে পরিবেশ দূষিত হয় এবং জমির স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। আশা করছি এর মধ্যে দিয়ে কৃষকেরা সচেতন হবেন এবং এই কাজ থেকে বিরত থাকবেন।’এ বিষয়ে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার জানান, ‘এর আগেও নানা সময়ে এই বিষয়ে সচেতনতা মূলক প্রচার করলেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন সময় কৃষকেরা জমিতে নাড়া পুরিয়ে জমির বাস্তুতন্ত্র নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। কৃষকদের এই বিষয়ে আরো বেশি করে সচেতন করতে আজকে এই র্যালি’র আয়োজন করা হয়েছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct