সাদ্দাম হোসেন, জলপাইগুড়ি, আপনজন: জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ধূপগুড়ির সরকারি ইন্সপেকশন ডাক বাংলো এক নজরে দেখলে বোঝা দায় গদি খানা নাকি ভাগাড় খানা! কারণ বাংলো চত্বর জুড়ে সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মদের বোতল এমন কি অফিস ঘরের সামনে মরে পড়ে রয়েছে বাছুর। নজরদারি নেই জেলা পরিষদ আধিকারিক থেকে দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের। প্রশ্নের মুখে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ভূমিকা। এই সরকারি জেলা পরিষদ বাংলোর ভেতরে রয়েছে জেলা পরিষদ সভাধিপতির আরাম করার জন্য ঘর। শুধু তাই নয় কখনো কোন জরুরী বৈঠক করা দরকার হলে এই বাংলোতে ব্যবহার করা হবে তাই এই ইন্সপেকশন বাংলো তৈরি করা হয়েছিল। এর আগে বাইরে থেকে লোক ঢুকে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিলো এমনকি একাধিকবার চুরির ঘটনাও ঘটেছে তার পরেও নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। জেলা পরিষদ ইন্সপেকশন বাংলোর প্রাচীর তিন পাশে ভাঙ্গা। ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে বাংলোর মুল গেট। নেই নজরদারি নেই নৈশ প্রহরি। তাই বহিরাগত সমাজবিরোধীদের অবাধ বিচরণ সকারি ইন্সপেকশন বাংলোর ভেতরে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যাবসায়ীদের। রাত হলেই বসে মদের আসর। নৈশ প্রহরী না থাকার সুযোগে। সব জেনেও নীরব জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। নজরদারি না থাকায় অভিভাবকহীন অবস্থা জেলা পরিষদ ইন্সপেকশন বাংলোর। কতদিনে হুশ ফিরবে সরকারি কর্তাদের কিংবা আবারও বহাল তবিয়তে ফিরবে ডাক বাংলো চত্বর সেদিকই মুখিয়ে আছেন এলাকাবাসী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। ধূপগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেবাশীষ দত্ত বলেন, কিছুদিন আগেও দেখেছি ডাকবাংলোতে একজন আত্মহত্যা করেছিলো। প্রায়ই মদের আসর বসে। একপ্রকার ভাটিখানায় পরিনত হয়েছে ডাকবাংলো চত্বর। সরকারী কর্মীরা যারা দেখভালের দায়িত্ব আছে তারা তাদের ঠিকভাবে পালন করছেনা। আমরা চাই দ্রুত ডাকবাংলোয় সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরী হউক আর বহাল তবিয়তে ফিরে আসুক। ডাকবাংলোর বেহাল অবস্থা নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের বিঁধেছে বিজেপি। বিজেপির ধূপগুড়ি বিধানসভার কনভেনার চন্দন দত্ত বলেন, জেলাপরিষদ শুধু রাজস্ব আদায়ের বেলা রয়েছে। জেলা পরিষদের রক্ষণাবেক্ষণ নেই। ধূপগুড়ির ডাকবাংলোর একই অবস্থা। ডাকবাংলোর বর্তমানে ভূতুড়ে অবস্থা, অপরিষ্কার হয়ে আছে। রাতের বেলা মানুষ ঢুকে যাচ্ছে আর মদের আসর বসাচ্ছে আর অসামাজিক কার্যকলাপ করছে। এর কারণ সারাক্ষণ গেট খোলা থাকে আর একটা অংশের তো প্রাচীরটায় ভাঙা। একজন নৈশ প্রহরী থাকার কথা ছিলো কিন্তু তার দেখা নেই।এদিকে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্যা মমতা সরকার বৈদ্য বলেছেন, এর আগে সিদ্ধান্তঃ নেওয়া হয়েছিলো চারিদিকের ভাঙা দেওয়াল ঠিক করার কথা ও অফিসের কাজের সময় শেষ হলে গেটটা আটকে দেওয়া হয় যাতে অবৈধভাবে কোনো দুষ্কৃতিরা ওখানে ঢুকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায়। কিন্তু জানিনা কেনো যারা আধিকারিকরা আছে ওনারা কেনো খোজখবর নেয়না। অফিসের কাজে যেই আধিকারিকরা কেনো অফিসে জানাচ্ছেন না জানিনা।সেরকম হলে একজন নৈশপ্রহরী নিয়োগ করতে হবে এবং যারা দায়িত্বে রয়েছে তাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct