নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা: জ্যোতিপ্রিয় নিয়ে প্রশ্নকে রাজনৈতিক বিষয় বলে সাংবাদিক সম্মেলনে এড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন,এ বিষয়ে সঠিক প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন আমার দলের রাজনৈতিক মুখপাত্র। এরপরই তার সংযোজন, অবশ্যই তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য। কিন্তু কে জানে ডিজিটাল রেশন কার্ড চালু করতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এক কোটি ভুঁয়ো রেশন কার্ড তিনি বাতিল করেছিলেন। তিনি কৃষকদের কাছ থেকে ধান প্রোকিওরমেন্টের যে পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন তাকে গ্রিন রিভলিউশন বলা চলে। অন্য আইনি প্রশ্নের আমি এখন উত্তর দেব না। এ বিষয়ে নিজেকেই নিজের ডিফেন্ড করতে হবে। আমি শুধু তার শারীরিক সুস্থতা কামনা করছি। এদিন রেশন ব্যবস্থা নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন বাম আমলে রেশন ব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রায় এক কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড ছিল। এই ভুয়ো রেশন কার্ডের টাকা কোথায় যেত। আমরা ধীরে ধীরে এই রেশন কার্ড বাতিল করেছি। রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম তখন এক কোটি ভুঁয়ো রেশন কার্ড ছিল। যারা বড় বড় কথা বলছেন সেই এক কোটি ভুঁয়ো রেশন কার্ড থাকা মানে সেটা তারা তুলতেন। এই টাকাটা কোথায় যেত? আজ পর্যন্ত তার কোনো তদন্ত হয়েছে। এই কাজটা করতে গিয়ে আমাদের সাত আট বছর সময় লেগেছে। এক কোটি রেশন কার্ড আমরা বাতিল করেছি। অনেক দালাল মানুষের রেশন বাইরে বিক্রি করে দিত। তাদের বিরুদ্ধে আমরাই কেস করেছি। গ্রেফতার করা হয়েছে এবং চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। এক সময় ফুট কর্প্রেশন আধভাঙ্গা চাল বন্ধ করে দিয়েছিল। ইতিহাসটা সকলের জানা উচিত। যখন তারা বন্ধ করে দিল রেশন সিস্টেমটা বন্ধ হওয়ার মুখে চলে গিয়েছিল। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিই ভাঙ্গাচাল খাওয়ার থেকে আমরা চাষির ঘর থেকে চাল কিনব। গত চার পাঁচ বছর ধরে সে কারণেই চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে কৃষকদের থেকে। বিনা পয়সায় রেশন দিতে গিয়ে চাল কিনতে হচ্ছে ২৩-২৪ টাকায়। কিন্তু কৃষকরা দাম পাচ্ছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct