আপনজন ডেস্ক: নাম করলেন না একবারো। তবু আক্রমণ শোনালেন একদা তার সহকর্মী বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তার পিতৃদের শিশির অধিকারীকে। দিলেন তদন্তের হুঁশিয়ারিও। মঙ্গলবার পুজো শেষে নবান্নে আসার পর আজ বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তার মুখে উঠে এসেছে রেশন দুর্নীতি থেকে শুরু করে একাধিক প্রসঙ্গ। বিরোধীরা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারকে সামনে রেখে শাসক শিবিরকে আক্রমণ শাণিয়েছে। এই অবস্থায় পাল্টা আক্রমণের পথে গেলেন মমতা। নাম না করে বিরোধী দলনেতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,আমি একটু ভাবছি। কারো কারো ষাটটা, সত্তরটা বড় বড় ট্রলার আছে। কত বেনামী বাড়ি আছে, কত পেট্রোল পাম্প আছে কত কোটি কোটি টাকা আছে তারা বড় বড় কথা বলে কি করে! আমরাও কাগজপত্র বের করছি। এতদিন করিনি। এখন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি জমি কাকে দেওয়া হচ্ছে এক বছরের মধ্যে ক্যাবিনেটে জানাতে হয়। আমরা কি দেখতে গিয়েছি, হলদিয়া ডেভেলপমেন্টে যারা ছিলেন তারা কোন ল্যান্ড কত টাকায় বিক্রি করেছেন। ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি বানিয়েছিলাম ভালো কাজ করার জন্য, কত জমি দিয়েছে! ৬০০ হোটেলই তো তৈরি হয়েছে। আমরা একবারও জানতে গিয়েছি! কেঁচো খুঁড়লে কিন্তু সাপ বেরোবে।
অন্যদিকে, ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রসঙ্গত প্রথম পর্বের আন্দোলনের গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি অভিযান পরবর্তীতে রাজভবনের সামনে ধরনা এরপর ১০০ দিনের পাওনা-সহ বিভিন্ন বিষয়ের জন্য ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন তিনি। বুধবার পরবর্তী পর্যায়ের আন্দোলনের কথা ঘোষণা করলেন মমতা।
এ বিষয়ে মমতা বললেন, ১৬ই নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন তিনি। তার মধ্যে ১০০ দিনের টাকা না এলে ১৬ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে পরবর্তী আন্দোলনের ভবিষ্যত্ রূপরেখা তৈরি হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct