আপনজন ডেস্ক: চলমান হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতের মাঝেই বিশ্ব মানচিত্রের অনলাইন সংস্করণ থেকে রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের নাম মুছে দিয়েছে চিন। শীর্ষ দুই চিনা কম্পানি বাইদু ও আলিবাবা সোমবার বিশ্ব মানচিত্রের যে অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করেছে, তাতে পাওয়া যাচ্ছে না ইসরায়েলের নাম।প্রথম এ ব্যাপারটি খেয়াল করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এ সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ‘এমনকি লুক্সেমবার্গের মতো ক্ষুদ্র দেশের নামও (চিনা মানচিত্রের অনলাইন সংস্করণে) দেখা যাচ্ছে, কিন্তু ইসরায়েলের নাম নেই।’ মানচিত্রে ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সীমানা দেখানো হলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়নি ইহুদিবাদী দেশটির নাম। চিনের অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীও ব্যাপারটি লক্ষ করেছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরও মানচিত্রের অনলাইন সংস্করণটি একই রকম আছে। চিনের ভেতরেও এ ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।বৈশ্বিক মানচিত্রের অনলাইন সংস্করণ থেকে ইসরায়েলকে বাদ দিতে চিনের সরকারি পর্যায় থেকে কোনো নির্দেশ এসেছে কি না, জানতে চাওয়া হয়েছিল বাইদু ও আলিবাবা কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য এড়িয়ে যায় দুই কম্পানি।চলতি মাসের ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের ইরেজ এলাকায় অতর্কিত হামলা চালায় গাজার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। সীমান্ত বেষ্টনী বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে কয়েক শ প্রশিক্ষিত হামাস যোদ্ধা।সেখানে প্রথমেই কয়েক শ বেসামরিক মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২১২ জন ইসরায়েলিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিককে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে হামাস যোদ্ধারা। কয়েক ঘণ্টা ব্যবধানে সেদিনই গাজা উপত্যকায় বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় গাজার বিদ্যুৎ, পানি, খাবার সরবরাহ।অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর অভিযানে গত তিন সপ্তাহে এই উপত্যকায় নিহত হয়েছে আট হাজারেরও বেশি মানুষ এবং নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী-শিশু। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছে এক হাজার ৪০০ জনের কিছু বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।এই সংঘাতের শুরু থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ এড়িয়ে দুই পক্ষকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে চিন। হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকে চিন। দেশটির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত ঝাই জুন সম্প্রতি বলেছেন, ‘চিন চায় মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বন্ধ হোক এবং উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করুক। মধ্যস্থতার লক্ষ্যে মিসরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও সমন্বয় রক্ষা করে চলেছে বেইজিং।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct