আপনজন ডেস্ক: ৬ ম্যাচে মাত্র ১ জয় সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছিল বাংলাদেশের। তবু হিসাব-নিকাশের খেলা ক্রিকেটে সম্ভাবনা জেগে ছিল কাগজ-কলমে। সেটাও আজ ধূলিসাৎ করে দিয়েছে পাকিস্তান। বাবর আজমদের কাছে ৭ উইকেটের হারে নিজেদের বিশ্বকাপ অবিধানে সম্ভাবনা বলে আর কিছু রইল না বাংলাদেশের।কলকাতায় আগে ব্যাট করে ২০৪ রান তুলতে পেরেছিল বাংলাদেশ। এই রান যে কত মামুলি ছিল, সেটি বুঝিয়ে দেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। ১০৫ বল হাতে রেখে জেতে তারা। এই জয়ে পাকিস্তানের শেষ চারের সম্ভাবনা টিকে থাকলেও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ তো গেলই, সঙ্গে শঙ্কায় আগামী চ্যাপিয়নস ট্রফিতে খেলা।লক্ষ্য টপকাতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৮ রান এনে দেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ফকর জামান। ইনিংসের ২২তম ওভারে ৬৮ করা শফিককে ফেরালেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশ। মিরাজ অবশ্য বল হাতে কিছুটা চাপ তৈরি করতে পেরেছিলেন, শফিকের পর ফেরান ৯ রান করা বাবর ও ৮১ রান করা ফখরকে।১৬৯ রানে ৩ উইকেট হারানো পাকিস্তান ম্যাচের আনুষ্ঠানিকতা সারে মোহাম্মদ রিজোয়ান ও ইফতেখার আহমেদের ব্যাটে।রিজওয়ান ২৬ ও ইফতেখার ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের টপ অর্ডার আজও দাঁড়াতে পারেনি। ২৩ রানের মধ্যে ফিরে যান তানজিদ হাসান (০), নাজমুল হোসেন (৪) ও মুশফিকুর রহিম (৫)। চতুর্থ উইকেটে লিটন দাস ও মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৭৯ রান আসে এই জুটি থেকে।লিটন আউট ৪৫ রান করে। তার ৬৪ বলের ইনিংসে ৬ চার। এরপর মাহমুদের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের ২৮ রানের জুটি। স্বপ্নের এক ডেলিভারিতে মাহমুদকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান শাহীন শাহ আফ্রিদি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। খানিক পর ৭ রানে আউট হন একাদশে ফেরা তাওহিদ হৃদয়। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে সাকিবের ৪৫ রানের জুটিতে ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৬৪ বলে ৪ চারে ৪৩ রান করেন সাকিব। মিরাজ আউট হন ২৫ রানে। ৪৫ ওভার ১ বলে ২০৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct