জাহেদ মিস্ত্রী, বারুইপুর, আপনজন: স্ত্রীকে খুন করে মাথা ন্যাড়া করে আত্মগোপন করেও হল না শেষরক্ষা। বারুইপুরে স্ত্রীকে খুন করে পুতে রাখার ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত স্বামী। বচসা থেকেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে পুলিশ। এর সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস । ধৃতকে সোমবার বারুইপুর আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হলে মহামান্য আদালত ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বারুইপুর থানা ও মগরাহাট থানার পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে মগরাহাটের পশ্চিম বিলারিয়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। উত্তর মনসাতলার বাসিন্দা রবীন মন্ডলের সাথে ২০ বছর আগে বিয়ে হয় ইন্দ্রপালারই বাসিন্দা অঞ্জলি মন্ডলের সাথে। প্রেম করেই বিয়ে হয় তাদের। তাদের দুই পুত্র সন্তান আছে। একজনের ১৯ আরেকজনের ১৪ বছর বয়স। তারা মামার বাড়িতেই থাকে। ছেলেদের উপরেও মারধোর করত মদ্যপ অবস্থায়। তাই তারা মামার বাড়িতে থাকত। পুলিশ ও এলাকা সুত্রে জানা গিয়েছে রবীন মন্ডল মদ বিক্রি করত বে আইনীভাবে। তার নামে একাধিক কেসও আছে। বহুবার জেলও খাটে। মারপিটের ঘটনায় সেপ্টেম্বর মাসে ২০ তারিখ গ্রেফতার হয়। পুজোর আগে ৫ই অক্টোবর জামিন পায় রবীন। বিজয়া দশমীর দিন বুধবার লাস্ট অঞ্জলি দেবীকে দেখা গিয়েছিল। ঐদিনই ঝামেলা হয় দুজনের। তারপর থেকে আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঐদিনই ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে স্ত্রীকে ছাগল ঘরে পুঁতে দেয় অভিযুক্ত, এমনটাই অভিযোগ করে মৃতের মা। ২৮ তারিখ সকাল বেলা ঘরের ভিতর থেকে গন্ধ পেয়ে অঞ্জলি মন্ডলের মায়ের সন্দেহ হয়, খবর দেয়া হয় বারুইপুর থানায়। খবর চাউর হতেই পালিয়ে যায় রবিন মন্ডল। পুলিশ এসে মাটি খুঁড়ে অঞ্জলি মন্ডলের মৃত দেহ উদ্ধার করে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বারুইপুর থানার বিশেষ পুলিশ টিম মগরাহাট এলাকা থেকে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত রবিন মন্ডলকে গ্রেফতার করে। এটি বারুইপুর পুলিশের একটি বড়সড়ের সাফল্য বলে মত সাধারণ
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct