এম মেহিদী সানি ও মনিরুজ্জামান, দেগঙ্গা, আপনজন: বসিরহাটের খোলাপোতায় দলীয় কার্যালয়ে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের এক জরুরি সভা হয়। মানুষের কাছে পৌঁছনোর পাশপাশি লোকসভা ভোটের আগে জনসংযোগ আরোও মজবুত করতে এই সভার আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন তিনি উত্তর ২৪ পরগরা বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক সেখ নূরুল ইসলাম, সভাপতি সরোজ ব্যানার্জি, বিধায়ক রফিকুল ইসলাম, সুকুমার মন্ডল,জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, বারাসাত -২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শম্ভুনাথ ঘোষ, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বুরহানুল মুকাদ্দিম,জেলা পরিষদের খাদ্য ও সরবরাহ কর্মাধ্যক্ষ সাহানুর মন্ডল , সোমনাথ মুখার্জী, রঞ্জিত বাবু,সমীক রায় অধিকারী, মেহেদী হাসান,দুলাল দাস,কৌশিক দত্ত,ভিকি, অর্চনা মৃধা, আব্দুল খালেক, আসাদ আলি মোল্লা প্রমুখ। এই সভায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ইড কর্তৃক গ্রেফতারে প্রতিবাদ জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, বিজেপির বাংলায় পায়ের তলাতে মাটি সরে গেছে। তার প্রমাণ মিলেছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। তাই বিজেপি ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পনা করে তৃণমূলকে কালিমা লিপ্ত করতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো জনদরিদ নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তিনি বলেনন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে কেন্দ্রের কাছ থেকে বাংলার বকেয়া আদায়ে আমাদের আন্দোলন চলবে। দিল্লির বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলন হবে। বাংলার প্রতি যে বঞ্চনা কেন্দ্র সরকার করছে তার প্রতিবাদে আমাদের এই আন্দোলন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে। যতই ষড়যন্ত্র করুক তৃণমূলের আন্দোলন রক্ষা যাবেনা বলে হুমকি দেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। দলের নির্দেশ মেনে ১ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিটি ব্লক এবং শহরে বিজয়া সম্মিলনী করা হবে বলে এদিন জানানো হয়। তাতে থাকবেন স্থানীয় বিধায়ক সহ ব্লকের সভাপতি এবং দলের সাংগঠনিক নানা নেতৃত্ব।ব্লকের ক্ষেত্রে প্রতিটি অঞ্চল থেকে অন্তত পাঁচজন করে পুরানো ও দলের একনিষ্ঠ কর্মীকে সম্বর্ধনা দিতে হবে, শহরের ক্ষেত্রে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে পাঁচজন করে। তাদের মধ্যে সব শাখা সংগঠনের অংশগ্রহণ যেন অবশ্যই থাকে।এই ১ থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে ব্লকের ক্ষেত্রে বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি এবং শহরের ক্ষেত্রে বিধায়ক ও টাউন সভাপতিরা মিলে যে কোনও একদিন নির্দিষ্ট ব্লক বা টাউনের যাঁরা প্রেস/ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন তাঁদেরকে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজন অথবা ছোটখাটো চা চক্রের ব্যবস্থা করে তাঁদের সাথে একটি মিটিং করবেন এবং তাঁদেরকে বোঝাবেন যে দল ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে যে দিল্লি গিয়েছিল এবং রাজভবনের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করেছিল সেটা সাধারণ মানুষের জন্য, সাধারণ মানুষের পাওনা আদায়ের জন্য।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct