নিজস্ব প্রতিবেদক, দেগঙ্গা, আপনজন: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা বেড়াচাঁপায় ঐকতান মিল্লী ইত্তিহাদ মজলিসের ডাকে এক বিরাট কনভেনশন হয়ে গেল। রবিবার ২৯ অক্টোবর এই কনভেনশনের প্রথম পর্বে নাগরিক সংহতি সভায় বক্তব্য রাখেন সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস, ছোটন দাস, ভানু সরকার, গোলাম মুর্তজা, ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা ওবাইদুর রহমান প্রমুখ। তারা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সুরক্ষা ও ভারত নির্মাণে মুসলিম-দলিত-আদিবাসী ও সেক্যুলার সমাজের অবদানের কথা সবিস্তার আলোচনা করেন। ভারতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি, সুরক্ষা, স্বাধীনতা ও দেশ বিনির্মাণে এই পিছিয়ে পড়া সমাজের যে অবদান আছে, তা প্রচার-প্রসারের জন্য একটি তথ্যসমৃদ্ধ “ঐতিহাসিক ডকুমেন্ট” প্রস্তুত করার কথাও বলেন তারা। এরপর ঐকতান অর্গানাইজার মুফতি রুহুল আমিন ট্রাস্টের প্রস্তাবসমূহ পেশ করেন, যা সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়। দ্বিতীয় পর্বে ট্রাস্টী বোর্ডের অন্যতম সদস্য মাওলানা এম আমিনুল আম্বিয়া সংগঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, প্রেক্ষাপট ও কর্মপন্থা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ দিনের কনভেনশনে জামায়াতে ইসলামী হিন্দের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন মাওলানা মুফতি মোহাম্মাদ তাহেরুল হক ও মাওলানা এ.এফ.এম খালিদ সাহেব। এছাড়াও ছিলেন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, জমিয়তে উলামায়ে বাংলার হাফেজ আজিজুদ্দীন, জমিয়তে আহলে হাদীসের আলমগীর সরদার, বসিরহাট মাওলানাবাগের মাসউদুর রহমান, তবলীগ জামায়াতের মাওলানা হাবিবুর রহমান, ফুরফুরা হিজবুল্লাহ জামায়াতের মাওলানা আব্দুল হালিম সাহেব, সিরাত ট্যালেন্ট সার্চ কমিটির মাওলানা আবু সিদ্দিক, ইউথ ফেডারেশনের মাওলানা সিয়ামত আলী ও আনোয়ার শাহ, আইনজীবী শফীউর রহমান প্রমুখ।
মুসলিম সমাজ বিভিন্ন দল ও উপদলে বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় মিল্লাত যে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, সে সম্পর্কে বক্তাগণ সকলকে সচেতন করেন। তাঁরা বলেন, চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমাদের চোখ খুলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। অতএব আগামী দিনে সমন্বয় ও মৈত্রী বন্ধন রচনা করে কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম-এর ভিত্তিতে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি, এটাই সময়ের দাবি। অন্যান্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে বিভিন্ন জেনা থেকে উপস্থিত ছিলেন লাব্বাইক কেমব্রিজ একাডেমীর কর্ণধার হাসিবুর রহমান, ফিরোজ আহমাদ, আব্দুল জালাল, মাফুজল আলম, ইয়াসীন বিশ্বাস, রবিউল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, আল আমিন, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, শাহ আলম কয়াল, আকবর আলী, মাওলানা মোফাজ্জেল, আলি আকবর, কবিউল ইসলাম, মোঃ মুস্তাকিম মণ্ডল, আমরুল হাসান, মুহিউদ্দীন, আব্দুর রহমান, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ শিক্ষক ও শিক্ষাব্রতীগণ। তারা আগামী দিনে মুসলিম মিল্লাতের ঐক্যের স্বার্থে “ঐকতান” এর সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অত্র সভায় পরিকল্পনা নেওয়া হয় অতি শীঘ্র মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীল এবং ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সমন্বয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করা হবে। যেখানে মসজিদের সামাজিক, শিক্ষামূলক, সংস্কৃতি কর্মকাণ্ডে কেন্দ্রীয় ভূমিকা তথা ইমামগণের দায়িত্ব এবং ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রয়োজনীয় সাম্মানিক ও সম্মান প্রদান সম্পর্কে পলিসি-প্রোগ্রাম গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় সমাজকল্যাণমূলক অভিযান পরিকল্পনা নেওয়া হবে।বিশেষ সহযোগিতা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আব্দুন নায়ীম তরফদার, সেখ জিয়াউল হক, আব্দুল হাকিম, ক্বারী সাইফুদ্দীন, নূর ইসলাম গাইন, ক্বারী মুজাহিদুল ইসলাম, মুনাজিরুল ইসলাম, জাহিরুদ্দীন সহেব প্রমুখ।সভা পরিচালনা করেন ট্রাস্টী বোর্ডের অন্যতম সদস্য মাওলানা মোঃ আব্দুল মোমেন, শাহ নওয়াজ আলম, আবু হানিফা, গওসুল আযম। সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন সাহেব। বৈশ্বিক সংকট নিরসনে দুয়ার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করেন মাওলানা এ.এফ.এম. খালিদ সাহেব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct