বাবলু প্রামানিক, পাথরপ্রতিমা, আপনজন: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের লক্ষ্মী জনার্দনপুর হেরম্ব গোপালপুর অচিন্ত্য নগর এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রত্যহ নৌকায় করে মান্নার ঘাটে জেটির উপর দিয়ে রামগঙ্গায় আসে, সেই রকম রামগঙ্গা থেকে আরম্ভ করে পাথরপ্রতিমার প্রচুর মানুষ ওপারেও যাতায়াত করে। সোমবার একটা নাগাদ কেদারপুর চড়ায় সাদা বালি কেটে আনতে যাওয়ার সময় বাঁশের জেটির উপরে উঠে পড়ে এবং তালা ভেঙে যেটির কাঠ ঢুকে যায়, আতঙ্কিত চিৎকার করতে থাকের বালি আনতে যাওয়া নৌকার মাঝিসহ অন্যান্যরা। এলাকায় থাকা যাত্রী থেকে অন্যান্য মানুষজন দৌড়ে গিয়ে তাদের রক্ষা করে। তবে নৌকাটি সম্পূর্ণ বাশের জেটি নিয়ে ভেঙে থেকে যায়। পারাপারের নৌকার যাত্রীরা পড়ে বিপদে। ভাটার সময় ওই নৌকার উপরে সিঁড়ি দিয়ে কোন রকমে যাতায়াত করতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তবে নৌকাটি ওখান থেকে সরিয়ে নেবার পর আর যাতায়াত করা সম্ভব হবে না বলে যাত্রীদের অভিযোগ। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে যখন সাদা বালিকাটা নিষিদ্ধ, সেখানে কিভাবে প্রশাসনের চোখ কে ধুলো দিয়ে দিনের পর দিন এই নৌকাগুলি নদীর চর কেটে বালি নিয়ে বিক্রয় করছে, সেদিকে হুশ নেই কেন প্রশাসনের। অন্যদিকে দুর্ঘটনা গ্রস্ত লৌকার চালক ভক্ত হরিদাসের দাবি জোয়ারের সময় বাঁশের জেটিটি সম্পূর্ণ ডুবেছিল, এই জেটিতে কোন সিগন্যাল দেওয়া ছিল না তাই বিভ্রান্ত হয়ে জেঠির উপরে উঠে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ক্ষতি হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার। অন্যদিকে এই জেটির ইজারাদার নেওয়া অজয় পাল বলেন ১৪ বছর এই যে টি রয়েছে, তিনি নিয়েছেন মাত্র সাত মাস, তাছাড়া যে নৌকোটি সেটি এই এলাকারই নৌকা সব সময় সাদা বালি কাটার জন্য এই পথে যায় ইচ্ছা করেই নৌকার মাঝি বিরোধী কথা বলছে, এই জেটির কাজ না করতে ৪-৫ দিন সময় লাগবে ভাটাভট সময় যাত্রীদের পারাপার করা আর হবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct