নিজস্ব প্রতিবেদক, হলদিয়া, আপনজন: চিকিৎসক নেই, আর এ কারণে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের আকুপাংচার বিভাগ।ফলে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। যেতে হচ্ছে তমলুক কিংবা কলকাতায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি,এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ভবনে একাধিক বার চিঠি লেখার পরও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি।সূত্রের খবর,হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের আকুপাংচার বিভাগে একজন চিকিৎসক ছিলেন।বছরখানেক আগে অবসরগ্রহণ করেছেন ওই চিকিৎসক।তারপর থেকে নতুন করে কোনও চিকিৎসক না আসায় ওই বিভাগে রোগীদের দুর্ভোগ বেড়ে গিয়েছে।যেমনটা জানলেন হলদিয়ার এক বাসিন্দা সপ্তাহের তিনদিন আকুপাংচার করাতে হয় তাঁর মায়ের।তিনি বলেন,’’ মহকুমা হাসপাতালে আকুপাংচার বিভাগ থাকা সত্বেও পরিষেবা মিলছে না।চিকিৎসক না থাকায় প্রায় ১ বছর ধরে বিভাগটি তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তা চালু করার কোনও আগ্রহ নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।এ কারণে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। অসুস্থ মাকে নিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন ছুটতে হচ্ছে তমলুক হাসপাতালে।’’ আকুপাংচার হচ্ছে একটি বিশেষ ধরনের ব্যবস্থা যেখানে সূক্ষ্ম ও চিকন ধাতব সুচের মতো কিছু নিডল চামড়ায় কিছু সময়ের জন্য ঢুকিয়ে রাখা হয়।এর মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা নিরাময় হয়।এটি মূলত ট্র্যাডিশনাল চায়নিজ মেডিসিনের অন্তর্গত একটি চিকিৎসাপদ্ধতি। ব্যথা,বাত,হাঁপানি,প্যারালিসিসের মতো বহু রোগে এই চিকিৎসা ভাল ফলদায়ী।অল্প খরচেই সম্ভব এই চিকিৎসা।তবুও এ চিকিৎসার ব্যাপারে কার্যত অনাগ্রহী স্বাস্থ্য দপ্তর।হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুভাষ মাহাতো বলেন,’’ আমরা একাধিকবার জেলা ও রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগকে এ ব্যাপারে জানিয়েছি।কিন্তু নতুন করে আর কোনও চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়নি।ফলত চিকিৎসকের অভাবে আকুপাংচার বিভাগটি বন্ধ রয়েছে।যতদিন না নতুন চিকিৎসক নিয়োগ হয় ততদিন বন্ধ থাকবে।’’ সাধারণ মানুষ কবে পরিষেবা পাবে সেই প্রশ্ন থেকে গেল।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct