আপনজন ডেস্ক: হোমওয়ার্ক শেষ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এক মুসলিম সহপাঠীকে চড় মারার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়েছে যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ ধারা, যা কোনও শ্রেণীর ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসকে অপমান করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষপূর্ণ কাজ সম্পর্কিত, স্কুল শিক্ষক তৃপ্তি ত্যাগীর বিরুদ্ধে কিশোর ন্যায়বিচার (শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা) আইনের ৭৫ ধারার দ্বিতীয় শর্তসহ প্রয়োগ করা হয়েছে। ২০১৫ (জেজে অ্যাক্ট)। জেজে আইনের ৭৫ ধারার দ্বিতীয় শর্তটি কোনও সংস্থার দ্বারা নিযুক্ত বা পরিচালনাকারী কোনও ব্যক্তির দ্বারা কোনও শিশুর উপর আক্রমণ বা নির্যাতনের অপরাধ ের সাথে সম্পর্কিত, যা শিশুর যত্ন এবং সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কোনও ব্যক্তির দ্বারা অপ্রাপ্তবয়স্ককে অপ্রয়োজনীয় মানসিক বা শারীরিক কষ্ট দেয়। বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চ মীরাট রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শকের দেওয়া হলফনামা খতিয়ে দেখে বলেছে, “তদন্ত শেষ হয়েছে এবং ২৯৫এ ধারায় মামলা চালানোর জন্য সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা সরকারকে অবিলম্বে অনুমোদন ের অনুরোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। বিবৃতিতে বলা হয়, যখন ভুক্তভোগী শিশুর ভবিষ্যত এবং তার কল্যাণের কথা আসে, তখন রাষ্ট্র এই মামলাকে প্রতিকূল হিসাবে বিবেচনা করতে পারে না।মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধীর দায়ের করা একটি পিটিশনের শুনানি করে শীর্ষ আদালত এই মামলার দ্রুত তদন্তের দাবি জানায়।বিচারপতি ওকা নির্যাতিতার বাবার হলফনামায় দেওয়া দাবির কথা উল্লেখ করেছেন যে শিশুটি “মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত”। বেঞ্চ বলেছে, “আমরা রাজ্যকে লক্ষ্য করছি যে আমরা কেবল ভুক্তভোগী নয়, কথিত ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য শিশুদের কাউন্সেলিং করার উদ্দেশ্যে একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থা নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct