আমীরুল ইসলাম, বোলপুর, আপনজন: বাড়ি থেকে টেনে বের করে বীরভূম ছাড়া করব হুমকি দেওয়া পর। এবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ি ঘেরাওয়ের হুমকি প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক গদাধর হাজরার। শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বিশ্বভারতীর লাগানো ফলকে ব্রাত্য ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী রবিবার অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে তৃতীয় দিনে। এদিন শান্তিনিকেতনে কবিগুরু হস্তশিল্প সমিতি মার্কেটের তৃণমূলের অবস্থান-বিক্ষোভ মঞ্চে স্বামীর হয়েছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অসিত মাল, পুরো প্রতিনিধি এবং তৃণমূলের নেতারা। পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী বলেন, উপাচার্যর পদ থেকে অবিলম্বে সরে যাওয়া উচিত অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। আমরা নেত্রী নির্দেশ অনুযায়ী আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাব। যতদিন না ওই ফলক সরানো হচ্ছে। নতুন করে রবি ঠাকুরের নাম ঢোকানো হচ্ছে। ততদিন এই আন্দোলন কর্মসূচি চলবে।তৃণমূলের অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে। ঠিক এমত অবস্থায় শান্তিনিকেতনের ক্যাম্পাস জুড়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সমর্থনে পরলো একাধিক পোস্টার। পোস্টারে লেখা অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেই উপাচার্য হিসেবে চাই। পোস্টারের নিচে লেখা বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটি। রাস্তা ফেরত চেয়ে আবারও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চিঠি দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। গত সেপ্টেম্বর মাসে একই আবেদন জানিয়ে পরপর দুটি চিঠি দিয়েছিলেন উপাচার্য। শান্তিনিকেতনের পোস্ট অফিস মোড় থেকে কালিসায়ের প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা। এই রাস্তাটি শান্তিনিকেতনের আশ্রমের ঠিক মধ্যস্থল। যে রাস্তার দুই পাশে রয়েছে রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত হেরিটেজ স্থানগুলি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচল করলে শতাব্দী প্রাচীন রবীন্দ্রনাথের বাড়িগুলি নষ্ট হতে পারে। তাই বিশ্বভারতীকে এই রাস্তা ফেরত দিন। বিশ্বভারতী রক্ষণাবেক্ষণা করবে। মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি উপাচার্য।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct