আপনজন ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে দুই দফায় বিধানসভা নির্বাচন হবে ৭ ও ১৭ নভেম্বর। ৯০ আসন বিশিষ্ট ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস দুজন ও বহুজন সমাজ পার্টি একজন মুসলিম প্রার্থী দিলেও বিজেপি কোনও মুসলিম প্রার্থী দেয়নি। তবে, এক মুসরিম নির্দশ হিসেবে দাঁড়িযেছেন।কংগ্রেস কাওয়ার্ধা কেন্দ্র থেকে মহম্মদ আকবরকে পুনরায় প্রার্থী করেছে যিনি কংগ্রেস বিধায়কও। ওই কেন্দ্রে বহুজন সমাজপার্টি আকবর ভাই নামে একজনকে প্রার্থী করেছে। ভিলাই নগর কেন্দ্র থেকে জনতা কংগ্রেস ছত্তিশগড় (জে)-এর প্রার্থী হয়েছেন জাহির খান। এছাড়া বৈশালী নগরে আবদুল করিম খানকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, বিজেপি ২০০৩ সাল থেকে কোনও মুসলিম প্রার্থীকে টিকিট দেয়নি। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, মুসলমানরা মোট জনসংখ্যার প্রায় ২.২ শতাংশ, কিন্তু এখন প্রায় ৩.৫ শতাংশ। ২০০৩ সাল থেকে কংগ্রেস রাজ্য বিধানসভায় দু’জন মুসলিম প্রার্থীকে প্রার্থী করে আসছে। কিন্তু এই নির্বাচনে প্রথমে কেবল মাত্র মোহাম্মদ আকবরকে প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু পরে আরও এক মুসলিম আবদুল করিম খানকে প্রার্থী করে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কংগ্রেস কাওয়ার্ধা কেন্দ্র থেকে মহম্মদ আকবরকে এবং বৈশালী নগর (দুর্গ) কেন্দ্র থেকে বদরুদ্দিন কুরেশিকে টিকিট দিয়েছিল।আকবর ৬০,০০০ এরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন। বদরুদ্দিন কুরেশি ২০০৮ সালে ভিলাই শহর থেকে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রেম প্রকাশ পান্ডেকে পরাজিত করে বিধায়ক হলেও পরে গত বিধানসভায় তাকে বৈশালী নগর (দুর্গ) থেকে কংগ্রেস প্রার্থী করায হেরে যান। এবার তার জায়গায কংগ্রেস প্রার্থী করেছে আব্দুল করিম খানকে। ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের বলেন “কংগ্রেসের কাছে তিনটি আসনে মুসলিমকে টিকিট দেওয়অর দাবি জানানো হয়েছিল। বিজেপির মুখপাত্র সাচিনন্দ উপাসনা বলেন, বিজেপিতে এমন কোনও মুসলিম নেতা নেই, যিনি নির্বাচনে লড়তে পারেন।মধ্যপ্রদেশের মতো অন্যান্য রাজ্যে এমনকি কেন্দ্রেও আমাদের মুসলিম নেতা রয়েছেন। আমরা কখনও ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করি না, কিন্তু কংগ্রেস মুসলিম নেতাদের টিকিট দিয়ে তুষ্টির রাজনীতি করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct