নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা: শুক্রবার শহীদ মিনারে আন্দোলন রত সংগ্ৰামী যৌথ মঞ্চের “বিষাদ সম্মিলনী” তে যোগ দিল সিপিআইএম, ডিওয়াইএফআই, এসএফআই এর প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য পলাশ দাস, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সদস্য কলতান দাশগুপ্ত, এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য।
একদিকে রেড রোডে যখন রাজ্য সরকারের পুজো কার্নিভাল অনুষ্ঠান চলছে, তখন অপর দিকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে শহীদ মিনারের পাদদেশে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ২৭৪ তম অবস্থান দিনে আন্দোলনে সংহতি জানাতে উপস্থিত হন সিপিআইএম এর নেতৃত্ববৃন্দ। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বেশ কয়েক মাস ধরে বকেয়া মহার্ঘ্যভাতা সহ অস্থায়ীদের স্থায়ীকরণ, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারী দপ্তরে শূন্যপদে স্বচ্ছভাবে স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ রাজ্য সরকার তাদের প্রতি কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না।
এ প্রসঙ্গে এসএফআই-এর রাজ্য কমিটির সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য্য বলেন, এই সরকার দুর্বৃত্তের সরকার, এই সরকার রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের টাকাও চুরি করে এমন নজির ভারতবর্ষেও নেই, অবিলম্বে একজোট হয়ে সমস্ত সরকারী কর্মচারী সহ অস্থায়ী কর্মচারীরা এই সরকারকে উৎখাত করুন, তবেই বঞ্চনার অবসান মিটবে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, এই রাজ্য সরকার পরিকল্পিত ভাবে সস্তার শ্রমিক তৈরী করে রাজ্যের মানুষকে আরো নিজেদের ন্যায্য অধিকার থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে, সরকারী কর্মচারীদের তো বঞ্চনা আছে তার সাথে নতুন প্রজন্মকে চুক্তিভিত্তিক চাকুরিতে নিয়োগ করে তাদের দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত করে রেখেছে রাজ্য সরকার। এবার আমরা তা শক্তহাতে প্রতিহত করতে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছি, আশা রাখছি সরকার অবিলম্বে সকলের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দেবেন”। অন্যদিকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ ও বেতন পরিকাঠামোর দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে যজ্ঞ করা হয়। সেখানে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি ও অপকর্ম আহুতি দেওয়া হয় এবং শহীদ মিনার চত্বরে বিভিন্ন প্রতীকী দোকান দেওয়া হয়, চা শিল্প, চপ শিল্প, ঘুগনি শিল্প, ঝালমুড়ি শিল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীরা ঘুগনি বিক্রি, চপ ভেজে, চা বিক্রি করে প্রতিবাদ করেন। চাকরীপ্রার্থীদের মধ্যে গ্রুপ সি, রাজ্য গ্রুপ ডি ও মাদ্রাসা চাকরিপ্রার্থীরা একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে রুদ্রনীল ঘোষও উপস্থিত ছিলেন। এক শিক্ষক নির্মল কুমার মন্ডল অভিযোগ করেন, ১০ বছর ধরে ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষিকারা ন্যূন অধিকার থেকে বঞ্চিত, স্থায়ীকরণ নেই, মাসের বেতন মাসে নেই, রাজ্য সরকার আমাদের সাথে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct